
নিজস্ব প্রতিবেদক :: জেলে সুনু গাজীর জালে ধরা পড়লো একটি মাত্র ইলিশ। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা মেয়র বাজারে গিয়ে নিলাম ডাকের মাধ্যমে সেই ইলিশটি বিক্রি করলেন ৫ হাজার ৬ শত ২৫ টাকায়। জানা যায়, ডাকের মাধ্যমে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা মণে বিক্রি হয়েছে মাছটি।
মাছের ওজন হয়েছে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম, যার দাম নির্ধারিত হয়েছে ৫ হাজার ৬ শত ২৫ টাকা। মাছটি বিক্রির জন্য রেখেছেন মৎস্য ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন। পটুয়াখালীর কুয়াকাটার গঙ্গামতি এলাকার জেলে সুনু মাঝি আজ বৃহস্পতিবার সকালে সমুদ্রে জাল তুলতে গিয়ে ইলিশটিকে পেয়েছেন। পরে কুয়াকাটা মেয়র বাজারে নিয়ে গেলে রাসেল ফিসের মাধ্যমে নিলাম ডাকে মাছটি কিনে নেন নাসির উদ্দিন নামে এক মাছ ব্যবসায়ী।
নাসির উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকায় খুটা দিয়ে মাছটি ধরে এনেছেন ওই জেলে। পরে বিক্রির জন্য আসেন আমাদের বাজারে। তবে এই রকম বড় সাইজের ইলিশ এখন খুব কম ধরা পড়ে। আজকে মাছটি কিনেছি লাভের আশায়, এখন সামান্য ব্যবসা হলেই বিক্রি করে দেব।
ওই মাঝি সুনু গাজী বলেন, ‘আজকে ট্রলারে একটি মাছই পেয়েছি। সাগরে বড় ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। আমি যে মাছটি পেয়েছি সেটি সাইজে বড় হওয়ার কারণে অনেক টাকায় বিক্রি করেছি। খুব বেশি মাছ না পেলেও যা পেয়েছি তাতে অনেক খুশি আমি।’
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘বড় ইলিশ মূলত জেলেদের জন্য সুখবর বয়ে আনে। গভীর সমুদ্রের জেলেদের পাশাপাশি উপকূলের জেলেরাও এখন বড় ইলিশ পাচ্ছে। ইলিশের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। আশা করি, সামনের দিনগুলোতে ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়বে।
তাহলে দামটা আরও কমে আসবে।’ উপজেলার বেশ কয়েকটি মাছের বাজারে গিয়ে কথা বলে জানা গেছে, ইলিশ সংকট কিছুটা কাটতে শুরু করলেও দাম আকাশচুম্বি। আজকে এক কেজি ওপরের ইলিশ এক লাখ থেকে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মণ দরে বিক্রি হয়েছে।
৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ইলিশ ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৭০-৭৬ হাজার টাকা, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৪০ থেকে ৪৮ হাজার টাকা, ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৪৮ হাজার টাকা, জাটকা ২৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।