
নিউজ ডেস্ক :: যুবককে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় কনেসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী দুলাল মোল্লা বৃহস্পতিবার মোকাম বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলাটি করেন। আসামিরা হলেন-কর্নকাঠি গ্রামের জয়নাল সর্দারের মেয়ে (কনে) নাবিলা, আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন তমাল, মামুন, সাইফুল, আশিকুর রহমান, কাজী সাইদুল রহমান কাসেমী, হৃদয় মুন্সি ও আনোয়ারুল কবির।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বরিশাল সদর উপজেলার কর্নকাঠি গ্রামের জাকির মোল্লার ছেলে দুলাল মোল্লাকে ৮ আগস্ট জোর করে বাকেরগঞ্জের শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলে আনা হয়। পরে তাকে বরিশাল নগরীর ভাটারখালে কাজী অফিসে নিয়ে যান আইনজীবী গিয়াস উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন।
কাজী অফিসে আটকে রেখে জোর করে নাবিলা নামে নারীর সঙ্গে দুলালের বিয়ে দেন। এ ঘটনায় কনেসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুলাল। দুলাল বলেন, কর্নকাঠি গ্রামের শাহিনের স্ত্রী নাবিলা ও তার সঙ্গে কয়েকজন মিলে আমাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে।
সে সময় তারা আমাকে মারধর করে বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেয়। আইনজীবী গিয়াসের দাবি, দুলাল দীর্ঘদিন ধরে নাবিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত। এছাড়া নাবিলার গর্ভে দুলালের সন্তান। সন্তান নিজের বলে দাবিও করেছে দুলাল। দুলালকে তুলে নিয়ে বিয়ে করানো হয়নি, তিনি স্বেচ্ছায় এলাকাবাসীকে নিয়ে বিয়ে করতে কাজী অফিসে গেছে।