ঢাকাশুক্রবার , ২২ আগস্ট ২০২৫

হোটেলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, সাবেক সমন্বয়কের বিরুদ্ধে মামলা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ২২, ২০২৫ ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক  :: হোটেলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, সাবেক সমন্বয়কের বিরুদ্ধে মামলা।

কুমিল্লার তিতাসে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে কোমল পানীয়তে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নূর মোহাম্মদ নামের এক সমন্বয়কের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ওই যুবতী।

 

অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ তিতাস উপজেলার কালাচান কান্দি এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তিনি বিলুপ্ত হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা কমিটির তিতাস উপজেলার সমন্বয়ক ছিলেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, একই উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় নূর মোহাম্মদের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় হওয়ার পর থেকেই নূর মোহাম্মদ বিভিন্নভাবে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতেন। বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়েও উত্ত্যক্ত করতেন তাকে। গত ১৬ জুলাই দুপুর ১২টায় অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ ওই যুবতীকে তার আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার কথা বলে একটি মাইক্রোবাসে তুলে রওনা হন। পথে অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ তাকে কোমল পানীয় পান করান। কিছুক্ষণ পর ওই তরুণী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে অজ্ঞাত একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

 

পরবর্তীতে ভুক্তভোগীকে নূর মোহাম্মদ মাইক্রোবাসে করে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যান। ঘটনার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে পরিবারকে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে পরিবারের লোকজন মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।

ওই ভিকটিম বলেন, ‘নুর মোহাম্মদ আমার জীবন তছনছ করে দিয়ে এখন উলটো আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদের মোবাইলে বৃহস্পতিবার থেকে একাধিকবার কল এবং সর্বশেষ আজ শুক্রবার ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে কোনো সাড়া মিলেনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিলুপ্ত হওয়া কমিটির কুমিল্লা জেলার সমন্বয়ক বর্তমান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলার প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সব কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সংগঠন বলবৎ থাকলে হয়তো তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া যেত। এখন তো আর সংগঠনের কার্যক্রম চালু নেই। তাই আমি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।

বাদীর আইনজীবী মুহাম্মদ ওমর শরীফ বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করি, সুষ্ঠু তদন্তে নির্যাতিত ভিকটিম ন্যায়বিচার পাবে।