
নিজস্ব প্রতিবেদক :: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নে এক নারীর দুই স্বামীর টানাটানি প্রকাশ্যে আসায় গ্রামজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের ওই নারীকে (৩৫) দুই স্বামীসহ স্থানীয় জনতা আটক করেন।
খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ ভিড় জমিয়ে ঘটনাটি চাক্ষুষ করেন।
ওই নারীর প্রথম স্বামী মো. রফিক জানান, ২০২৪ সালে তার সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি ওই নারীকে নিয়ে চরমানিকা ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ড মিজি বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। শুক্রবার তিনি কাজের খোঁজে বাসা থেকে বের হন। শনিবার সকালে ওই নারী তার দ্বিতীয় স্বামী দাবিদার মোসলেউদ্দিনকে নিয়ে ওই ভাড়া বাসায় ওঠেন। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ও রফিক সেখানে হাজির হয়ে ওই নারী ও মোসলেউদ্দিনকে আটক করেন।
রফিক আশা প্রকাশ করেছেন, আইনের মাধ্যমে তার স্ত্রীকে ফিরে পাবেন।
ঘটনার সময় দ্বিতীয় স্বামী মোসলেউদ্দিন জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়ে বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে ওই নারীর প্রথম স্বামী রফিককে তালাক দিয়ে আমি তাকে বৈধভাবে বিয়ে করেছি। চরমানিকা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ওই নারীর ভাড়া বাসায় কিছু আসবাবপত্র থাকায় সেগুলো নিতে এসেছি। তখন স্থানীয় জনতা আমাদের আটক করেছে। আমি চাই বিষয়টি আইনের মাধ্যমে সমাধান হোক এবং আমার স্ত্রীকে ফিরে পাব।
ওই নারী বলেন, আমার জীবনে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি দুজনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়েছি। আমি চাই আইন আমাদের সঠিকভাবে বিচার করবে এবং গ্রামে অযথা উত্তেজনা সৃষ্টি না হোক।
চরমানিকা ৩ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী মিজি বলেন, এ ঘটনায় গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ ও বিভ্রান্ত। জনতা আটকের পর ওই নারীর দুই স্বামীসহ তাদের পরিবারে হস্তান্তর করেছে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আইন মেনে সঠিক সমাধান নিশ্চিত করুক। গ্রামের শান্তি অক্ষুণ্ণ রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।