
নিজস্ব প্রতিবেদক :: অযত্ন-অবহেলায় পায়রার নদীতে নষ্ট হচ্ছে সওজের-কোটি টাকার সম্পদ
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর দুমকিতে অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে ফেরি বিভাগের কোটি টাকার সম্পদ। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে চুরি হয়ে যাচ্ছে যন্ত্রাংশ। রোদ-বৃষ্টি, পানি ও কাঁদার আস্তরণে এখন অচল দুটি ফেরি । স্থানান্তর না হওয়া ও তদারকির অভাবে খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে এসব সম্পদ।
দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক-কর্মচারীদের পদচারণা না থাকা ও ফেরি চলাচল না করায় পুরো এলাকা আগাছায় ছেয়ে গেছে। এ অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা কোটি টাকার এ নৌযান দুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ শে অক্টোবর পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এর ক্ষমতা ও বিলাসিতা কারনে তার বাড়ির সামনে দুমকির বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীতে ফেরি দুটি নিয়ে রাখা হয়। যা বর্তমানে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। যার বেশিরভাগ মালামাল ইতোমধ্যে চুরি হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় বেশিরভাগ মূল্যবান যন্ত্রপাতি নেই ফেরিতে। ভেতরের বেশিরভাগ জায়গায় আবর্জনার স্তূপ। মাটির আস্তরে এবং পানি কাঁদায় ঢেকে গেছে ফেরি দুটি অধিকাংশ অংশ। অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারি এসব সম্পত্তি রক্ষার জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
উপজেলার ঝাটারা এলাকার মো: জসিম উদ্দিন বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি বা অন্য কোথাও কাজে লাগালে ভালো হতো। নদীর পাড়ে দুটি ফেরি পড়ে আছে। সরকারি কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। এগুলো এখান থেকে নিয়ে কাজে লাগানো প্রয়োজন।
পার্শ্ববর্তী জলিশা এলাকার মো: শাহিন বলেন, অকেজো ফেরিগুলো নিলামে বিক্রি আর সচল বাকিগুলো সংস্কার করে জনগণের সেবার আওতায় আনা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার বলেন, বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর পারে থাকা সম্পর্কে তার জানা আছে। খুব দ্রুত সময়ে অত্র বিষয়ের যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।