ঢাকারবিবার , ৯ নভেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে ‎বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই সানজিদার ‘পেশা’ ‎

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
নভেম্বর ৯, ২০২৫ ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে ‎বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই সানজিদার ‘পেশা’।


বিয়ের নামে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মিশনে নেমেছে বরিশাল সদর উপজেলার সাহেবের হাট এলাকার এক রমনী। অভিযুক্ত রমনী সানজিদা ইসলাম শান্তা বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানাধীন সাহেবের হাট চরপাতুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ বাদশার মেয়ে। তিনি নলছিটির উত্তর জুরকাঠী এলাকার বাসিন্দা আঃ রাজ্জাকের ছেলে আবু রায়হানের স্ত্রী।

সুন্দরী রমনী সানজিদা ইসলামের পেশা ও নেশাই হলো বিয়ে নাটক করে অর্থ আত্মসাৎ। আর তার অর্থলোভী মানসিকতার জন্যই প্রথম স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়। পরবর্তীতে কুমারী সেজে আবারো বিয়ে নাটকে ফাঁসান বর্তমান স্বামী আবু রায়হানকে। এখন তিনি আবু রায়হানের থেকে অর্থ আত্মসাতে নানা রকমের ফন্দি এঁটে চলেছেন।

‎অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত অর্থলোভী সানজিদা ইসলাম গত ২০২০ সালে বাকেরগঞ্জের বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জলিলের পুত্র নাঈম খানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পরপরই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে স্বামী নাঈমের থেকে অর্থ আত্মসাতের পায়তারা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সানজিদার ইচ্ছানুযায়ী অর্থ না পেলে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। এ সময় গর্ভের বাচ্চাও নষ্ট করেন বলে নাঈম জানান। একপর্যায়ে গত ২০২২ সালের ১৪ জুলাই তারিখে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সানজিদার সাথে নাঈমের ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের সময় সানজিদা কাবিনের টাকাসহ প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন স্বামী নাঈম খানের থেকে। সানজিদার অত্যাচারে নাঈম তখন সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়েও সম্মান হারানোর ভয়ে নীরব থাকেন।

এ ঘটনায় নাঈম খান বলেন, এসব মেয়ের শাস্তি হওয়া উচিত। আর কোন পুরুষকে যেন এরা বলিরপাঠা বানাতে না পারে। এরপর গত ২০২৪ সালের ১২ মার্চ নলছিটির উত্তর জুরকাঠী এলাকার বাসিন্দা আঃ রাজ্জাকের ছেলে আবু রায়হানের সাথে আগের বিয়ের তথ্য গোপন করে নিজেকে কুমারী দেখিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পরপরই স্বামী আবু রায়হানের থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ নিতে থাকেন। একপর্যায়ে তার অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি রায়হান বুঝতে পারেন। কিছুদিন পূর্বে সানজিদা হঠাৎই তার বাবার ব্যবসায় টাকা লাগবে বলে আবু রায়হানের কাছে ৪ লাখ টাকা চান। আবু রায়হান সানজিদার প্রতারণার বিষয় বুঝতে পেরে টাকা দেয়া থেকে বিরত থাকেন। আর এ থেকেই তাদের পরিবারে কলহের সৃষ্টি হয়। সানজিদা এবার রায়হানকে ডিভোর্স দিয়েও তার থেকে কাবিন ও খোরপোষের টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল খুঁজছেন।

সানজিদার বর্তমান স্বামী আবু রায়হান বলেন, সানজিদা প্রতরণার আশ্রয় নিয়ে কুমারী সেজে আমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে টাকা নেন। পরবর্তীতে তার কৌশল বুঝে টাকা দেয়া কমালে সানজিদা আমার উপরে বিভিন্নভাবে মানসিক অত্যাচার শুরু করেন। এমনকি তার চাহিদানুযায়ী টাকা না দিলে আমার সন্তান ফেলে চলে যাবারো হুঙ্কার দেয়। একমাত্র সন্তানের দিকে তাকিয়ে আমি সংসার টিকিয়ে রাখতে চাইলেও সানজিদা পুরাই তার উল্টো।

‎তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত সানজিদার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।