
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর ১১ নং ওয়ার্ডস্থ আরশেদ আলী সড়ক এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে ওয়ালিদ হোসেন অলি (২০)। যেখানেই অপরাধ-অপকর্ম, সেখানেই কিশোর ওয়ালিদ হোসেন অলির নাম উঠে আসছে। হুমকি-ধমকি, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, মাদক, ছিনতাই ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ থেকে এমন কোনো অপরাধ নেই যেখানে তার নাম নেই। এমনকি অলি তার এসব অপকর্ম চালিয়ে যেতে যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের কাধে ভর করে। তার যন্ত্রনায় এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওয়ালিদ হোসেন অলির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, ছিনতাই ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের প্রতাপ এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও স্লোগান দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে আটক হয়ে কারাগারে রয়েছে। এরআগে গত ২৪ আগস্ট রাত আট টায় অলির বাসায় অভিযান চালিয়ে ৭৫ পিস ইয়াবাসহ করেছিল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অলিকে স্থানীয়ভাবে ‘ভাড়াটিয়া খুনি’ হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অলি নগরীর বাংলাবাজার এলাকার আওয়ামী লীগ ক্যাডার, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রুবেল শরীফ ওরফে নাক কাটা রুবেল ও তার ভাই রাজনের বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন। তবে তার এসব অপকর্ম চালিয়ে যেতে সম্প্রতি বরিশাল জেলা ছাত্রদলের এক নেতার সঙ্গে একাধিক কর্মসূচিতেও যোগ দিতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান- বাকেরগঞ্জ পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ হিসেবে পরিচিত। বিগত দিনে সে নগরীর বাংলাবাজার এলাকার আওয়ামী লীগ ক্যাডার নাক কাটা রুবেল ও তার ভাই রাজনের বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন। সম্প্রতি বরিশাল জেলা ছাত্রদলের এক নেতার সঙ্গে একাধিক কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছেন। মূলত অলি তার এসব অপকর্ম চালিয়ে যেতেই যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের কাধে ভর করে। এলাকায় হুমকি-ধমকি, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, মাদক, ছিনতাই ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ থেকে এমন কোনো অপরাধ নেই যার সাথে অলি জড়িত নয়। তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনা। তার যন্ত্রনায় এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।বরিশাল ভ্রমণ গাইড
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন- ওয়ালিদ হোসেন অলি হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, ছিনতাই ও মাদকসহ একাধিক মামলার আসামী। সে বর্তমানে বিএনপির অফিস আগুন ও সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও স্লোগান দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে আটক হয়ে কারাগারে রয়েছে।
এর আগেও ৭৫ পিস ইয়াবা সহ নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ওয়ালিদ হোসেন অলি (২০)। নগরীর বাংলাবাজার ইঞ্জিনিয়ার সড়কস্থ জনৈক মুসা মিয়ার ভবনের নীচ তলা ভাড়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় বিএমপি গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. ফিরোজ আলম বাদি হয়ে ওয়ালিদ হোসেন অলি আসামি করে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিকে থানা থেকে আদালতে প্রেরণ করলে সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারক জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এই অলি হলেন- নগরীর ১১ নং ওয়ার্ড আরশেদ আলী সড়ক এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং নগরীর বাংলাবাজার এলাকার আ.লীগ ক্যাডার, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রুবেল শরীফ (৪০) ওরফে নাক কাটা রুবেল ও তার ভাই রাজনের বিশ্বস্ত সহযোগী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে রোববার (২৪ আগস্ট) রাত আট টায় অলির ভাড়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে কেবিনেটের মধ্যে থাকা জামা প্যান্টের নীচ থেকে দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে ৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাক কাটা রুবেল ও তার ভাই আবুল বাসার (৪২) ওরফে রাজন। এ দুই জন পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের মৃত. আলতাফ শরীফের ছেলে। এলাকায় নানা অপকর্মে অভিযুক্ত থাকায় এলাকাবাসী নাক কাটা রুবেলের এক পা ভেঙ্গে দিয়েছিল। তারপর এলাকা ছেড়ে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার ‘শহীদ আলতাফ স্কুল’ সংলগ্ন এলাকায় বাসা করে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছে। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় নাক কাটা রুবেলের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।


