নিউজ ডেস্ক :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদে যেতে চান ৯৭ নারী। তাই ভোটের মাঠে হাজির হয়েছেন তারা। চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা, করছেন গণসংযোগ। কেবল দলের ব্যানারে নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও লড়ছেন অনেকে।
চব্বিশের ভোটে লড়তে ১২৮ জন নারী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার যাছাইবাচাই, ইসিতে আপিল ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর নারী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭-এ। যা অন্য যেকোনোবারের তুলনায় বেশি।
এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নারী প্রার্থী ২৩ জন। দলটির মনোনয়ন পেয়েছিলেন ২৪ নারী। এরমধ্যে বরিশাল-৪ আসনে নৌকা পাওয়া শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ২২৫ আসনে, ৭৫ আসনে দলে-দলে লড়াই
আওয়ামী লীগ ছাড়াও ১২টি দলের নারী প্রার্থী রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) ৯, জাতীয় পার্টি (বাইসাইকেল) ১, তৃণমূল বিএনপির (সোনালী আঁশ) ৬ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (আম) ৯, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) ৭, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (একতারা) ৩, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (ছড়ি) ৩, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (নোঙ্গর) ১, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (টেলিভিশন) ৩, গণফ্রন্টের (মাছ) ২, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির (হাতঘড়ি) ১ এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (কাঁঠাল) একজন নারী প্রার্থী রয়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ইসিতে নিবন্ধিত ২৭টি রাজনৈতিক দল। এরমধ্যে ১৪ দলের কোনো নারী প্রার্থী নেই। ১৩ দলের নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬৯ জন। বাকি নারী প্রার্থীরা স্বতন্ত্র।
ভোটের মাঠে ২৭ দল, আছেন ৩৮২ স্বতন্ত্র প্রার্থীও
উল্লেখ্য, সংসদ নির্বাচনের আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সব ধরনের কমিটির ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধান রয়েছে। তবে বড় দুয়েকটি দল বাদে অনেক দলই এই শর্ত পূরণ করতে পারেনি।