
ধর্ম ডেস্ক :: দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া
দুশ্চিন্তা ও মানসিক অস্থিরতা মানুষকে কুরে কুরে খায়। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাহ্যত করে। কষ্ট ও চাপা যাতনার জগদ্দল পাথর বুকে বসিয়ে দেয়। এছাড়া নানাবিধ অসুখ-বিসুখও তৈরি হয়। তাই দুশ্চিন্তা ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকা চাই। একজন মুমিন কখনো হতাশ কিংবা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় না। বরং সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহর ওপর আস্থা রাখাই সুস্থ থাকার উপায় এবং বুদ্ধিমানের কাজ।
দুশ্চিন্তা ও মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্ত থাকতে হাদিসে বেশ কিছু দোয়া শিক্ষা দেয়া হয়েছে। ওই দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়ুন। দেখবেন- আপনার দুশ্চিন্তা ও বিষাদ-ক্লিষ্টতা ক্রমে ক্রমে দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আলেমরা বলেন, মানুষকে বিপথগামী করার জন্য শয়তানের প্রথম হাতিয়ার হলো দুশ্চিন্তা। শয়তান প্রথমে মানুষের মধ্যে হতাশা ঢুকিয়ে দেয়। তারপর তাকে দিয়ে নানা ধরণের পাপ করায়। তাই ইহকালের শান্তি ও পরকালের মুক্তির জন্য দুশ্চিন্তা ও হতাশা থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।
এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, এমন একটি দোয়া সম্পর্কে আমি অবগত আছি, কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি তা পাঠ করলে, আল্লাহ তা’আলা তার সেই বিপদ দূর করে দেন। সেটি হচ্ছে আমার ভাই ইউনুস (আ.)-এর দোয়া। দোয়াটি হলো-
لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলিমিন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই; আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি নিজের প্রতি অবিচার করেছি।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫০৫)আল কোরআনের আল আম্বিয়ায়ও (আয়াত: ৮৭) এই আয়াতের উল্লেখ আছে।
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া
রাসুল (সা.) চিন্তিত হয়ে পড়লে একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো—
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَالعَجزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخلِ وَالجُبنِ، وَضَلَعِ الدَّينِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি দুশ্চিন্তা, দুঃখ, অপারগতা, অলসতা, কৃপণতা, ভীরুতা, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে আপনার আশ্রয় নিচ্ছি। হযরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পড়তেন। (বুখারি, হাদিস: ২৮৯৩)