ঢাকাসোমবার , ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আদালতের বারান্দায় ধস্তাধস্তি, ৩ তলা থেকে পড়ে আহত দম্পতি

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জানুয়ারি ১৫, ২০২৪ ৫:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: আদালতের বারান্দায় ধস্তাধস্তি, ৩ তলা থেকে পড়ে আহত দম্পতি

পারিবারিক কলহের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মেহেরপুর জজকোর্টের তিন তলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে আহত হন স্বামী-স্ত্রী। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, মামনুর রশিদ (৩৫) ও সিমা খাতুন (২৮)। মামনুর রশিদ গাংনী উপজেলার শওড়াতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। সিমা খাতুন একই উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের মালিপাড়ার ফরিদুল ইসলামের মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন কালো বোরকাপরা নারী ও আরেকজন মেরুন রঙের জ্যাকেট পরিহিত পুরুষ আদালত ভবনের তিনতলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আদালতের বারান্দার রেলিং ছোট হওয়ায় এক পর্যায়ে দুজন নিচে পড়ে যায়। পরে লোকজন ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

আহত সিমা খাতুন জানান, ২০১১ সালে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসার ভালোই চলছিল। তবে সংসারে বাচ্চা না হওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিবাদ পারিবারিকভাবে রূপ নেয়।এনিয়ে দুই পক্ষ আদালতে পৃথক মামলা করেন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আদালতে মামলা রুজু করা হয়। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মামনুর রশিদকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। আদালতে ২০ হাজার টাকা জমা দিতে এসেছিলেন মামুন।

সিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, মামুন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এসময় নিজেকে বাঁচাতে মামুনের হাত ধরে ফেলে। এতে দুজনরই নিচে পড়ে আহত হন। জানতে চাইলে মামুনুর রশিদ বলেন, মেরে ফেলার জন্য তিনতলা থেকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিতে চাইলে নিজেও পড়ে যায়। জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুস সাকিব বলেন, দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি রিপোর্ট করিয়ে আনতে বলা হয়। রিপোর্ট দেখার পর জানা যাবে শরীরে কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা।