স্টাফ রিপোর্টার :: শহীদ এ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয় এর সভাপতি ভিপি আনোয়ারের অপসারনের দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার (টাউন হল) চত্তরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ভিপি আনোয়ারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্ণীতির তথ্য তুলে ধরে অপসারনের দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবুল ফারুক। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ (বাকসু) এর সাবেক ক্রিড়া সম্পাদক মো: ফয়সাল বিন ইসলাম, শহীদ এ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয় এর সদ্য বিদায়ী ছাত্র খন্দকার রাকিব, বেল্লাল হোসেন সিকদার, বর্তমান শিক্ষার্থী মো: মেহেদি হাসান হাসিব, জান্নাতুল মাহি, সরজিত রায়, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রুম্মান হোসেন, জামাল সরদারসহ শতাধিক সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- সভাপতি ভিপি আনোয়ার ও তার চাচা শশুর ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মোস্তফা জামান খোকন অবৈধ ভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও সভাপতির নিজ নামে টাকা উত্তোলন/আত্মসাৎ, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে করা অসৌজন্যমূলক আচরণের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার ও অপসারনের দাবিসহ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম এমপি এবং আবদুর রব সেরনিয়াবাতের সুযোগ্য পুত্র বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতকে নিয়ে ভিপি আনোয়ার কটুক্তি করায় বহিস্কার ও শ্বাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনের আয়োজকদের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপিতর মাধ্যমে জানা যায়, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুল বুুঝিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে সু-চতুর আনোয়ার সভাপতি হন। সভপতি হওয়ার পর পরই আপন চাচা শশুরকে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ নিয়োগ দেন। এর পর পরই শুরু হয় কলেজ ফান্ড থেকে অর্থ আত্মসাৎ, যার পরিমান প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। তার নিজ নামে চেকের মাধ্যমে উত্তলন করে ৫ লক্ষ টাকা। সদ্য সিটি কর্পোরেশ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে তার স্ত্রীরির নির্বাচনী প্রাচারণার খরচের একাংশ ভাউচারের মাধ্যমে উত্তলন করেন এই অবৈধ সভাপতি ভিপি আনোয়ার। স্টল বরাদ্দের জন্য দুই কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করেন বেআইনি ভাবে। তিনি ফাইনাল পরিক্ষায় নকলের বিশেষ সুবিধা দেয়ার কথা বলে প্রতি বছর প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন। ভাইবা পরিক্ষায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে উত্তলন করেন। এছাড়াও শিক্ষক শিক্ষারর্থীদের সাথে খারাপ আচরণ, অবৈধভাবে শিক্ষকদের চাকুরি থেকে বাদ দেয়া এবং অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শফিক মিজান রহমান এন্ড আগাষ্টিন চাটার্ড একাউন্ট্যান্টস এর তদন্তে ৫০ লক্ষ টাকার অধিক দূর্নীতির প্রামান পাওয়ায় তদন্ত রিপোর্ট গ্রহন করেন নি ভিপি আনোয়ার ও কলেজের অধ্যক্ষ। পরবর্তীতে তারা গোপনে অন্য আরেক অডিটরকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে জাল জালিয়াতি ও ভূয়া তথ্য তুলে ধরে জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরন করেন।