নিউজ ডেস্ক :: বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যু
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত লিটন মিয়া (১৯) সোমবার গভীর রাত ৩টায় উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী পশ্চিম সীমান্তের ৯২৩ নম্বর পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। পরে তাকে বিএসএফ পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলা শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানেই মঙ্গলবার রাত ১০টায় লিটন মারা যান বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুরের পর জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে।লিটন মিয়ার মরদেহের ময়নাতদন্তের পর বুধবার রাতের যে কোনো সময় বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
লিটন মিয়া দীঘলটারী সাংকারচওড়া গ্রামের মোকছেদুল হক ও দুলালি খাতুনের ছেলে।
তার মৃত্যুর খবর পরিবারের কাছে পৌঁছালে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিলাপ করতে করতে দুলালি খাতুন বলছিলেন, “মোর ছাওয়াটা সীমান্তে যায়া কোনো দোষ করি থাকলে তাক ধরি ভারতের জেলোত না দিয়া বিএসএফ এদোন করি গুলি করি মারি ফেলাইলো। মুই ইয়ার বিচার চাং।”পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরু আনতে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয় একদল গরু পাচারকারী। গরু নিয়ে ফেরার পথে কোচবিহার জেলার দিনহাটা কৈমারী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ঘিরে ফেলেনএ সময় গরু পাচারকারীরা এলাকায় ফোন করে বিষয়টি জানায়। তখন লিটন পারভেজসহ ২০-২৫ জন বাংলাদেশি তাদের উদ্ধার করতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। লিটন লাঠি নিয়ে একজন বিএসএফ সদস্যের দিকে তেড়ে যান। তখন গুলি ছোড়ে বিএসএফ।
বাকিরা পালিয়ে বাঁচলেও গুলিতে আহত হয়ে ভারতে পড়েছিলেন লিটন। পরে তাকে নিয়ে বিএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করে।
কয়েক বছর আগেও এমন একটি ঘটনায় বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছিলেন লিটন পারভেজ।