
নিজস্ব প্রতিবেদক :: নেছারাবাদে জমি নিয়ে সংঘর্ষে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় জমি বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত পহেলা মে বুধবার দুপুর আনুমানিক একটার দিকে উপজেলার সোহাগদল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো ওই এলাকার গয়জউদ্দিন খলিফার ছেলে আমির হোসেন ও আমির হোসেনের ছেলে মাইনুল।
বর্তমানে তারা গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত আমির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমির ও তার পরিবারদের সাথে জমি জমা নিয়ে প্রতিপক্ষ আহাদ আলীর ছেলে আলম ও তার পরিবারদের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
আমির হোসেন পরিবারের জমি জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা চালায় আলম ও তার ভাই শাহাদাত, মাহবুব সহ তাদের গংরা। প্রতিপক্ষ আলমের বোন জাহানারা ও তার পরিবারকে ওই জমিতে দখল দিয়ে ঘর তুলে দেয় আলম।
এটা নিয়েই দ্বন্দ্ব বিরাজমান চলছে।
বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে সাবেক এমপি অধ্যক্ষ শাহ আলম সহ স্থানীয় প্রশাসন আমির হোসেনের জমি থেকে ঘর তুলে নিতে বলা হয় প্রতিপক্ষ আলমের বোন জাহানারা ও তার পরিবারকে।
কিন্তু তারা শালিস মান্যগণকে উপেক্ষা করে সীমানা নির্ধারিত পিলার উপরে ফেলে বিল্ডিং স্থাপন করার চেষ্টা চালায়।
এতে বাধা দিলে আমির হোসেন ও তার পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়।
এরই জের ধরে একপর্যায়ে, ঘটনার দিন বুধবার দুপুর একটার দিকে প্রতিপক্ষ আলম, শাহাদাত মাহবুবের নির্দেশে তার বোন জাহানারা ও জাহানারার স্বামী আব্দুর রব, মেয়ে রুনু বেগম , নাতি আবু হায়রা সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন সহযোগী পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টায় আমির হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন, এ সময় আমির হোসেনের ছেলে মাইনুল বাঁচাতে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করেন জাহানারা সহ অন্যান্য সহযোগীরা।
আমির হোসেন আরো জানান, ইতিপূর্বেও জাহানারা ও তার সহযোগীরা একাধিকবার আমাদেরকে হত্যার চেষ্টা হামলা চালিয়েছে। তারা আইনের নিয়ম কানুন তোয়াক্কা করে না।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়।