ঢাকাশনিবার , ১৯ অক্টোবর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি গঠন নিয়ে হট্টগোল : সনাতন ধর্মীদের ক্ষোভ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
অক্টোবর ১৯, ২০২৪ ৬:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি গঠন নিয়ে হট্টগোল : সনাতন ধর্মীদের ক্ষোভ।

মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি গঠনে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চর দখলের মতো শ্মশানের কমিটি গঠন হয়েছে বলে জানিয়েছে সনাতন ধর্মীয় নেতারা। এতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে হিন্দু সমাজের মাঝে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরিশাল মহানগর কমিটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিন্দা জানিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়ে যে, সংগঠনের কার্যকরী পরিষদের এক সভা শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আহ্বান করা হয় মহাশ্মশান মন্দির প্রাঙ্গণে।

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ভানু লাল দে’র সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় এ সভা শুরু হয়। সভায় মহানগর পূজা পরিষদের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশিষ্ট নাগরিকদের।

তাদের মধ্যে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলার সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল, মহানগরের সভাপতি মৃনাল কান্তি সাহা, সম্পাদক জয়ন্ত দাস, জেষ্ঠ্য আইনজীবী ও প্রবীণ সাংবাদিক তপন চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট অনিল চন্দ্র দে, জেলা পূজা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জি কুন্ডু, সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী প্রমুখ। তবে ওই সভায় আমন্ত্রণ না জানালেও শতাধিক যুবক অংশ নেন।

ওই যুবকদের মাঝে অনেকেই উচ্ছৃঙ্খলতা করা শুরু করে সভা শুরু হবার পরপরই। উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা চিৎকার করে বলতে থাকে অসিম কুমার দাস ম্যুরারী সভাপতি ও স্থানীয় বিজয় ভক্তকে সাধারণ সম্পাদক করতে হবে। তাদের চিৎকার চেচামেচিতে সভা পণ্ড হয়। খবর দেয়া হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অবস্থান নেয় মন্দির প্রাঙ্গণে।

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ভানু লাল দে জানান, তাদের কার্যকরী সভা পণ্ড হয়ে যায় বহিরাগতদের হট্টগোলে। ওই সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কাউকে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা দেননি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোপাল সাহা অভিযোগ করেন, চর দখলের মতো বহিরাগতরা এসে কমিটি গঠন করতে চেয়েছে। মহানগর পূজা পরিষদ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বিব্রত।

মহাশ্মশানের কোনো দায়িত্ব নেবে না মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ। মহাশ্মশানে বসে প্রবীণ হিন্দু নেতাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় ক্ষুব্ধ তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঐক্য পরিষদের জেলার সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল জানান, মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি গঠনের নামে যা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অশোভন কর্মকাণ্ড হয়েছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য ও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরঞ্জিত দত্ত লিটু ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, পূজা কমিটি হবে মার্জিত ভদ্রলোকদের নেতৃত্বে। সেখানে দখল দারিত্ব কোনোভাবেই কাম্য নয়। হিন্দু ধর্মালম্বী নয় এমন কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকরাও এসে হট্টগোল করায় আমরা ক্ষুব্ধ।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অসিম কুমার দাস ম্যুরারী দাবী করেন, ‘সভার মাধ্যমে আমাকে সভাপতি ও বিজয় ভক্তকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। হাজার লোকের সমর্থনের মধ্য দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু বাইরে গিয়ে হিন্দু সমাজের নেতারা যদি তা অস্বীকার করে তাহলে বিষয়টি দুঃখজনক।’ এ বিষয়ে জানতে বিজয় ভক্তকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।