নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল আদালতের পিপি, জিপি ও এপিপিদের নাম ঘোষণা।
বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নতুন সরকারী কৌসুলী (জিপি), পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), বিশেষ পিপি, অতিরিক্ত পিপি ও সহকারী পিপিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বরিশাল জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে পাঠানো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপ-সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত পত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বুধবার ওই তালিকা পেয়ে দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। প্রকাশিত তালিকায় ১৪৫ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে চার আইনজীবীর নাম দুই স্থানে রয়েছে। এছাড়াও তালিকায় সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে আওয়ামী সমর্থিত তিন আইনজীবীকে রাখা হয়েছে। জামায়াত সমর্থিত রয়েছেন দুই আইনজীবী। বাকিরা বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী। দুইবার নাম রয়েছে শেখ আব্দুল্লাহ নাসির, মো. ইউনুস আলী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও শাহাজুল ইসলাম। আওয়ামী সমর্থিত তিন আইনজীবী হলেন-মশিউর রহমান সোহেল, মো. খলিলুর রহমান ও সোহেলি আক্তার রনি। প্রকাশিত তালিকায় সরকারী কৌসুলী (জিপি) হলেন এবিএম ফজলুল হক। অতিরিক্ত সরকারী কৌসুলী হিসেবে রয়েছেন চারজন। এরা হলেন মো. মাহমুদ হোসাইন আল-মামুন, মো. জোবাইদুল ইসলাম খান (সবুজ), মো. জাহিদ হোসেন লিটন এবং মো. আবুল খায়ের।
সহকারী কৌসুলী হিসেবে রয়েছে ১৫ জন আইনজীবী। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হলেন আবুল কালাম আজাদ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি হয়েছেন আব্দুল মন্নান মৃধা। এ ট্রাইব্যুনালে একজন অতিরিক্ত ও একজন সহকারী পাবলিক প্রসিকউটর দেয়া হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি হয়েছেন এইচএম মজিবুর রহমান সবুজ। এ আদালতেও একজন অতিরিক্ত ও একজন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর দেয়া হয়েছে।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি হয়েছেন মহসিন মন্টু। এ ট্রাইব্যুনালে একজন অতিরিক্ত পিপি দেয়া হয়েছে। জননিরাপত্তা বিঘœকারী ও অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পিপি হয়েছেন শহিদ হোসেন। এ ট্রাইব্যুনালে একজন অতিরিক্ত পিপি দেয়া হয়েছে। মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে পিপি হয়েছেন লিয়াকত আলী খান। এ ট্রাইব্যুনালেও একজন অতিরিক্ত পিপি দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসি বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পিপি হয়েছেন কাজী বশিরউদ্দিন। সাইবার ট্রাইব্যুনালে পিপি হয়েছেন এসএম সাদিকুর রহমান লিংকন। এ ট্রাইব্যুনালে একজন অতিরিক্ত পিপি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২১ জনকে অতিরিক্ত পিপি ও ৮৮ জনকে সহকারী পিপি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এ বিষয়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া পিপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে সবাই খুশি। ভুলে দুইবার নাম এসেছে। এটা সংশোধন করা হবে। বরিশাল জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মহসিন মন্টু বলেন, অনেকে নিজের চাহিদা অনুযায়ী আদালত পায়নি। কিন্তু এতেও কেউ অখুশী নয়। আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবী পেলেও তাদের কোন অভিযোগ নেই।