ঢাকাবুধবার , ৩০ অক্টোবর ২০২৪

বরিশালে সি*ন্ডিকেট ভা*ঙ্গতে ভূমিকা রাখছে  ন্যায্যমূল্যের সবজির দোকান

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
অক্টোবর ৩০, ২০২৪ ১০:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে নগরবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ন্যায্যমূল্যের দোকান। বুধবার সকালে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নাগরিক বরিশাল এর ব্যানারে চাঁদমারি মাদরাসা সড়কে প্রথমদিনের মত এই বাজার বসে। নগরীর সকল বাজারের তুলনায় কম মূল্যে পণ্যের এ বাজার সাড়া ফেলছে ক্রেতাদের মাঝে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সব পণ্য। ক্রেতারা জানান, এমন উদ্যোগের বিকল্প নেই। প্রতিটি এলাকায় যদি এ ধরণের বাজার হয় তাহলে সিন্ডিকেটের পতন ঘটবে। এ বাজারে টাটকা সবজি খুচরা বাজারের থেকে অনেক কম দামে মিলছে। চাঁদমারি এলাকার বাসিন্দা মরজিনা বলেন, প্রথমদিনে বাজার ভালো জমে উঠেছে। তবে চাহিদার থেকে সবজি অনেক কম ছিল। অনেকে খবর পেয়ে আসতে আসতে বেচা-বিক্রি শেষ হয়ে যায়। গরিব মানুষের জন্য এ ধরনের বাজার হলে ভালোই হয়। অপর এক নারী বলেন, গত কয়েক মাসে ৮০ টাকার নীচে লাউ বাজার থেকে কিনতে পারিনি। সেখানে ৩০-৪০ টাকার মধ্যে লাউ চিন্তাও করিনি। আবার কলা ও শসার দামও কম বাজারের থেকে। বাজারটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, প্রথমদিনে তারা চাঁদমারি কলোনিতে দোকান বসিয়েছেন। মূলত বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্যই এই উদ্যোগ। তিনি বলেন, উজিরপুরের গুঠিয়া এলাকা থেকে পণ্য কিনে এনে এখানে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছেন। প্রথমদিনে নগরের চাঁদমারি কলোনি ব্যতীত আমতলার মোড় মডেল মসজিদের সামনেও একটি দোকান বসানো হয়েছে। আমরা চাচ্ছি এটিকে আরও বাড়াতে। মূলত বস্তি এলাকায় আরও দোকান বসাতে চাচ্ছি। যতদিন বাজার সিন্ডিকেট না ভাঙবে ততদিন এ বাজার থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য এনে ভোক্তার কাছে বিক্রি করছি। মাঝে কোনো সুবিধাভোগী নেই। ফলে আমরা যে কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে পারছি, তাতে ক্রেতারা সন্তুষ্ট হচ্ছেন। চাহিদা অনুযায়ী আমরা আরও বেশি পণ্য কিনবো এবং স্টলের সংখ্যাও বাড়বে। আজ প্রথম দিনে আমরা সকাল ১০টায় পণ্য নিয়ে এসেছি। ক্রেতাদের এত আগ্রহ দেখেছি যে, মুহূর্তের মধ্যে সব বিক্রি শেষ হয়ে গেল। উল্লেখ্য, প্রথমদিনে কাঁচা মরিচ ১১০ টাকা কেজি, করলা ৫০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, মূলা ২৫ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, কলা হালি প্রতি ২৫ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৩০-৪০ টাকা এবং ধনেপাতা ১শ গ্রাম ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কেনার ওপর ভিত্তি করে এ দাম উঠা-নামা করবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।