নিজস্ব প্রতিবেদক :: জাতীয় গ্রীড থেকে চাহিদার প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় দিনরাত লোডশেডিং-এ বিপর্যস্ত বরিশালের জনজীবন, শিল্প উৎপাদন সহ ব্যবসা-বানিজ্য। গত কয়েক দিন ধরেই সকাল থেকে মধ্যরাত পেরিয়ে পুরো বরিশাল অঞ্চলজুড়ে বিদ্যুৎ ঘাটতিতে চরম দুর্ভোগে সাধারন মানুষ ।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া লোডশেডিং বুধবার রাত আড়াইটা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। দুপুর ১২টার দিকে রিশাল মহানগরী সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে লোডশের্ডি এর কারণে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। বরিশাল অঞ্চলে ‘পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানী-ওজোপাডিকো’ এবং ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর ৬টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ১০ লাখ গ্রাহকের প্রায় ৮শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে গত তিনদিন ধরে সাড়ে ৪শ মেগাওয়াটের বেশী বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না জাতীয় গ্রীড থেকে। তবে এ অঞ্চলে পিডিবি এবং বেসরকারী কয়েকটি কোম্পানীর বিভিন্ন উৎপাদন কেন্দ্র থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে। একাধিক সূত্র বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু উৎপাদন ইউনিট রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামতের জন্য সাময়িক বন্ধ থাকার পাশাপাশি ডিজেল ভিত্তিক বেশকিছু ইউনিট উৎপাদনের বাইরে থাকায় চাহিদার তুলনায় ব্যাপক ঘাটতি অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার মধ্যরাতের পরেও চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ ঘাটতিতে বরিশাল মহানগরী সহ এ অঞ্চলের জনজীবনে চরম দুর্যোগ নেমে আসে। ঘুটঘুটে অন্ধকারে অনেকেই নিরাপত্তাহীনতার কথাও বলেছেন। বিদ্যুৎ সংকটে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বানিজ্যে সংকট সৃষ্টির পাশাপাশি শিল্প উপৎপাদনেও বিপর্যয় নেমে আসছে। অনেক শিল্প ইউনিটে রাতের শিফটে উৎপাদন বন্ধ রাখা হচ্ছে।
ঠিক কবে নাগাদ এ সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে সে বিষয়ে পিডিবি, ওজোপাডিকো এবং আরইবি’র দায়িত্বশীল মহল কিছুই বলতে পারছেন না।