ঢাকামঙ্গলবার , ২১ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নায়ক সাইফ আলীর ওপর হা.মলা কা.রি বরিশালের শেহজাদ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জানুয়ারি ২১, ২০২৫ ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ভারতের জনপ্রিয় নায়ক সাইফ আলী খানের ওপর হামলায় অভিযুক্ত মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা রুহুল আমিন ফকির (৬০)। তিনি এক সময় খুলনা মিলে চাকরি করতেন। ৩ ছেলের মধ্যে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মেজ। শেহজাদ নলছিটি থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। মোটরসাইকেল ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার পর তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। পরিবারের সঙ্গেও তাঁর কোনো যোগাযোগ ছিল না। নলছিটি থানা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শেহজাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এলাকায় তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।

 

শেহজাদ এর ছোটো ভাই সালমান ফকির (১৬) জানান, তার মেঝ ভাই শেহজাদ মোটরসাইকেল ড্রাইভার রফিকুল হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পরে ভারতে পালিয়ে যায়। দেশে থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়। তবে সে ভারতে পালিয়ে যাবার পরে তার সাথে পরিবারের কোনো যোগাযোগ আছে কি না সে জানেনা। ।

তার প্রতিবেশি রহিমা আক্তার (সম্পর্কে চাচি) বলেন, তার চলাফেরা সোজাসাপ্টা ছিলো কোন কাজ করলে কি হবে সেটা নিয়ে ভাবতো না। যে কারনেই বহুবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে।
প্রতিবেশী রিন্টু হাওলাদার বলেন, খুব কম বয়সে বিয়ে করছিলো যা পরবর্তীতে বিচ্ছেদে গড়ায়। তবে সে সংসারে কোনো সন্তান ছিলোনা

রাজাবাড়িয়া এলাকার একাধিক লোক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, বিভিন্ন সময় চুরি,ছিনতাই,চাঁদাবাজি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ এর বিরুদ্ধে। স্কুল কলেজের বারান্দায় পা পড়েনি কোনদিন তার। একাধিকবার বিভিন্ন এলাকায় জনতার হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন তিনি। তবুও শোধরায়নি তার স্বভাব চরিত্র। একাধিক বিয়ের কথা জানান এলাকাবাসি।

শেহজাদের বাবা রুহুল আমিন ফকির বলেন, আমাদের সঙ্গে শেহজাদের কোনো যোগাযোগ নেই। শুনেছি সে ভারতে আটক হয়েছে। সে কবে, কিভাবে ভারত গেছে তা আমাদের জানা নেই। খারাপ কাজ করলে সে শাস্তি পাবে, এটাই কামনা করছি।

মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ২০১৭ সালে নলছিটির মোল্লারহাট স্টিল ব্রিজের কাছে ভাড়ায় মোটরসাইকেলের চালক রফিকুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় রাজাবাড়িয়া গ্রামের মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে আসামি করা হয়। এ ঘটনার পরে তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। এলাকায় থাকাকালে তিনি ছিনতাই, চুরি ও মারামারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের কাছে এখনো কোনো বার্তা আসেনি। তবে শেহজাদের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় এবং ঢাকায় হত্যা মামলা রয়েছে। সে ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ আছে।