ঢাকাসোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুলের বি.রু.দ্ধে  ঘু.ষ বাণিজ্যসহ নানান অভি.যোগ 

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫ ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুলের বি.রু.দ্ধে  ঘু.ষ বাণিজ্যসহ নানান অভি.যোগ।

নিয়োগ, বদলি, প্রমোশন বাণিজ্য সহ সকল তদ্বিরে যেন ঘুসের হাট বসিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অর্থ ও হিসাব শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম রানা। শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন ও বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সাবেক সদস্য এ এস মাহমুদের আপন ভাগনে তিনি। সেই সুবাদে তিনি একজন অপ্রতিরোধ্য কর্মকর্তা। তার উপরস্থরাও তাকে সমীহ করে চলতেন।

আগস্টে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর কিছুটা চুপসে যান শহিদুল। কিন্তু অসংখ্য লোককে চাকরী দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে আর চাকরী দিতে পারেননি। এখন তারা টাকা ফেরত পেতে ভীড় করছে শহিদুলের দপ্তরে। এমন তথ্য উল্লেখ করে রেজিস্ট্রার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রকৌশল শাখার দৈনিক মজুরিতে চাকরি করা কর্মচারী সৈয়দ মতিউর।

এর আগে সম্প্রতি শহিদুল তার দপ্তরে বসা অবস্থায় মতিউর হঠাৎ ঢুকে জুতাপেটা করে সটকে যান। কয়েকজনকে চাকরি দেওয়ার জন্য ঘুষ বাবদ নেওয়া ৩২ লাখ টাকা ফেরত না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে মতিউর স্বীকার করেন।

মতিয়ার বলেন, ‘২০১৬ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার জন্য কয়েকজনের কাছ থেকে ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা এনে শহিদুলকে দেন। চাকরি দিতে পারেননি তিনি। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন। তাকে একটি ফাঁকা চেক দিয়েছেন। সম্প্রতি শহিদুল তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় জিডি করেছেন। এ কারণে তিনি শহিদুলকে জুতাপেটা করেছেন।’

প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম রানা  বলেন, মতিউরের কাছ থেকে কয়েক বছর আগে সুদে সাড়ে চার লক্ষ টাকা নিয়েছিলাম। সেই টাকা আগেই পরিশোধ করে দিয়েছি। সেদিন অফিস চলাকালীন হঠাৎ সহকর্মীদের সামনে মতিউর জুতাপেটা করে পালিয়ে যায়। বিচার চেয়ে ভিসি, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব দেওয়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের উপপরিচালক আবু হাসান বলেন, কর্মকর্তাকে জুতাপোটার ঘটনা নিন্দনীয়। চাকরি দেওয়ার নামে লেনদেন করলে তাও দুর্নীতির পর্যায়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত হবে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম  বলেন, জুতাপেটার ঘটনায় রানা সাহেব একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তাছাড়া ঘুস গ্রহণের অভিযোগ এনে মতিউরও একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।