ঢাকাসোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে রহ.স্যের আ.গু.নে পু.ড়ে ছা.ই হিন্দু পরিবারের বসতঘর

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫ ১:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

রবিউল ইসলাম রবি :: বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ শের-ই বাংলা সড়কের প্রথম গলির বাসিন্দা পুলিন মন্ডল (৬০) এর কাঠ ও টিনের বসতঘরটি রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুলিন মন্ডল রোববার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে সাত টায় বসতঘর থেকে চায়ের দোকানে যাবার পর এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ সহ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম। বসতঘরটি কাঠের ও টিনের হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বা কাউকে সন্দেহ হয় কিনা ? জানতে চাইলে পুলিন মণ্ডলের পরিবারের সদস্যরা বলেন, একটানা ৪০ বছর ধরে এলাকায় বসবাস করে আসছেন। জীবনে কারো সাথে তাদের দ্বন্দ্ব হয়নি এবং এখনও নেই। এলাকার হিন্দুসহ মুসলমানদের সাথে রয়েছে ভালো সম্পর্ক।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়- পুলিন মণ্ডলের বসত ঘরের সামনে একটু দূরে রয়েছে একটি ভবনে সিসি ক্যামেরা। অনেকেই বলছে সিটি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলে বেড়িয়ে আসতে পারে অগ্নিকাণ্ড ঘটনার মূল রহস্য।

অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, পুলিন মন্ডল ও তার স্ত্রী জীবিকা অর্জনের উপায় হিসেবে নথুল্লাবাদ বাজার সংলগ্ন ব্রিজের পাশে চা পান সিগারেটের ব্যবসা করে আসছেন। তাদের সংসারে স্বামী-স্ত্রী সহ ৫ জন বসবাস করে। ৪ মেয়ের আগেই বিয়ে হয়েছে। মেজো মেয়ে পপি মন্ডলের স্বামীর মৃত্যুর পর ১১ ও ৮ বছরের দুই সন্তান নিয়ে বাবা-মায়ের সাথে একত্রে বসবাস করে আসছে। পুলিন মণ্ডলের মেজো মেয়ে ‘ইউনি কেয়ার হেলথ ইনস্টিটিউট’ নামক প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী পদে চাকুরি করে আসছে।

পপি মন্ডল বলেন, আগে থেকেই তার কর্মরত প্রতিষ্ঠান রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়াকাটা যাওয়ার দিন ধার্য করে। পিকনিকে অংশগ্রহণ করার জন্য রোববার সকাল সাড়ে ছয় টায় দুই সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান তিনি। কিন্তু পিকনিকের বাসটি দপদপিয়া ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছামাত্রই মুঠোফোনে খবর পান তার বসতঘরে আগুন লেগেছে। তখনই দুই সন্তানকে নিয়ে বাস থেকে নেমে এলাকায় আসেন তিনি।

অপরদিকে সকাল সাড়ে সাত টায় পুলিন মণ্ডলের স্ত্রী স্বামীর আগে নথুল্লাবাদ বাজার সংলগ্ন ব্রিজের পাশে চা পান সিগারেটের দোকানে চলে যায়। পরে পুলিন মন্ডল বাসায় তালা দিয়ে দোকানে চলে যায়। আনুমানিক সকাল আটটার দিকে তারা জানতে পারে বসতঘরে আগুন লেগেছে।

 

এক এক করে সবাই যখন বসতঘরের সামনে যাবার আগেই সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিন মণ্ডলের বসতঘরটি তার হলেও জমি হল মো. আলী হোসেনের। তিনি কাশিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি মানবিক কারণে তার জমিতে পুলিন মন্ডলকে বসবাস করতে দিয়েছিলেন।

পুলিন মন্ডল ও তার পরিবারের সদস্যরা বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডের বিষয় তারা কিছুই জানে না। আর তাদের সাথে কারে দ্বন্দ্ব নেই। এমনকি কাউকে সন্দেহও করে না।