
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে অর্ধশতাধিক ঝুঁ.কিপূ.র্ণ ভবনে চলছে পাঠদান, আ.ত.ঙ্কে শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিভাগের বরগুনার পাথরঘাটায় প্রায় অর্ধশতাধিক জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। নতুন ভবন না থাকায় হাজারো শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। উপজেলা ১৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪ টি ভবন রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। এই সকল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে শিক্ষার্থীদের ক্লাস। কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে রয়েছে তাদের পুরনো পরিত্যক্ত আগের ভবন। এই সকল ভবনগুলো পরিত্যক্ত হওয়ার পরেও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করছে এই সকল ভবনে। ভবন ধসে পড়ে ঘটতে পারে যে কোন ধরনের বড় দুর্ঘটনা।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুসারে, উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৪৯ টি । এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৪৪ টি ঝুকিপূর্ণ ভবন। কালমেঘা ইউনিয়নে ১০ টি, কাকচিড়া ইউনিয়নে ১০ টি, চরদুয়ানী ইউনিয়নে ৬টি, নাচনাপাড়া ইউনিয়নে ৭ টি, কাঠালতলী ইউনিয়নে ২টি,পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে ৯টি।
সরজমিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের কোথাও বড় ফাটল ধরে বেড়িয়ে এসেছে রড, আবার কোথাও খসে পড়ছে পলেস্তারা। তাই ভয় ও আতঙ্কে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করে আসছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিপরীতে টিন সেট ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ঘরগুলোতে পর্যাপ্ত রুম না থাকার কারণে ঝুকিপূর্ণ ভবনেই করতে হচ্ছে তাদের পাঠদান । শিক্ষা অফিস তালিকা ছাড়াও রয়েছে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
চরটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারজানা বলেন, আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের রুমে ক্লাস করতে হয়। সব সময় মনের মধ্যে আতঙ্ক নিয়ে লেখাপড়া করতে হয় । আমাদের স্কুলে একটা নতুন ভবন হলে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবো।
চরটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি আমাদের অফিস কক্ষের অবস্থাও জরাজীর্ণ। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে । নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে আমাদের পাঠদানে আরও গতি বাড়বে।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীপক কুমার বিশ্বাস বলেন, পাথরঘাটায় ৪৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কয়েক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে । ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনের নামের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান না করার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে নতুন ভবনের অনুমোদন পেলে ভবনে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।


