
নিজস্ব প্রতিবেদক :: কিছুটা দেরিতে হলেও দক্ষিণাঞ্চল তথা বরিশালে বেচাকেনা শুরু হয়েছে পশুর হাটগুলোতে। বিগত দিনের মতো এবারেও বরিশালে আলোচনায় রয়েছে জেলার সর্ববৃহৎ চরমোনাইয়ের পশুর হাট। যেটি চরমোনাই হুজুর বাড়ির হাট হিসেবে পরিচিত। ধারাবাহিকভাবে এ হাটে এবারেও গরু প্রতি হাসিল নির্ধারণ করা হয়েছে ১শ টাকা, আর ছাগল প্রতি হাসিল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা।
তাতে গরু বা ছাগলের দাম যত টাকাই হোক না কেন। বিক্রেতারা জানান, খাজনায় কম হওয়ার পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো থাকায় এ পশুর হাটে দূর-দূরান্ত থেকেও গরু-ছাগল নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। সেই সঙ্গে ক্রেতা সমাগম ও বেচাবিক্রিও হয় বেশি। এবার শুরুতেই পশুর আমদানি ভালো হলেও সবেমাত্র হাট শুরু হওয়ায় এখন বেচাবিক্রি কিছুটা কম।
বশির হাওলাদার নামে এক বেপারী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি এ হাটে সব থেকে বেশি ক্রেতা সমাগম হয়। তাই এ হাটে প্রতিবছর গরু নিয়ে আসেন তিনি। এবারে ৪০টি গরু নিয়ে এসেছেন, যেখানে দেড়লাখ থেকে তিন লাখ টাকার গরু রয়েছে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৩ জুন) থেকে হাট শুরু হওয়ায় এখনো কোন পশু বিক্রি হয়নি, তবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মধ্যে সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
আর হাসিল মাত্র ১শ টাকা হওয়ায় এ হাটে ক্রেতারা গরুতে ভালো দাম দিতে চান, তাই দামও ভালো পাবো বলে আশা করছি। এদিকে শুরুতেই হাট ঘুরে ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের থেকে এবারে কোরবানির পশুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। বাজারে যত বেশি পশু উঠবে তত দাম কমার সম্ভাবনা বলে জানিয়ে আনোয়ার হোসেন নামে এক ক্রেতা।
তিনি বলেন, এ হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর সংখ্যা বেশি। আর এতে ক্রেতাদের আগ্রহও বেশি থাকে। তবে শুরুতে মনে হচ্ছে গরুর দাম বেশি চাইছেন বিক্রেতারা। আশা করি, বৃহ ও শুক্রবারের হাটে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, তখন এ হাট থেকেই গরু কিনে নিয়ে যাবো। এ ছাড়া শহরবাসীদের কোরবানির পশু লালন-পালনের সমস্যার কারণে শেষ দিকে হাট জমে ওঠে বলেও জানান তিনি।
হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি বেল্লাল হোসেন বলেন, সেবার মান উন্নয়নের কারণেই এবারের হাটে বিপুল সংখ্যক পশুর আমদানির পাশাপাশি বিক্রি হবে ইনশাআল্লাহ। আর সেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই এ হাটে প্রতিটি গরুর হাসিল মাত্র ১শ টাকা এবং প্রতিটি ছাগলের হাসিল মাত্র ৫০ টাকা রাখা হয়। অন্য হাটের মতো শতকরায় পার্সেন্টিস হিসেবে হাজার হাজার টাকা রাখা হয় না।