ঢাকাবুধবার , ১৮ জুন ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নেছারাবাদ বেইলি ব্রি*জ ভে*ঙে বরিশাল’র স*ঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব*ন্ধ : দু*র্ভো*গে জনগন

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুন ১৮, ২০২৫ ৬:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বেইলি ব্রিজের পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় বরিশাল—নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি)—এর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় অত্র অঞ্চলের জনগণ চরম দুর্ভোগে পড়েন। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে একটি কভার্ডভ্যান যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এতে ইকোনমিক জোন খ্যাত নেছারবাদ (স্বরূপকাঠি)’র সঙ্গে বরিশাল ও ঢাকার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে প্রায় ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

আমাদের প্রতিনিধির পাঠানো জানান, একটি কভার্ডভ্যান নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থেকে ঢাকা যাওয়ার পথিমধ্যে বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার জম্বদ্বীপের প্রায় ১৫০মিটার দৈর্ঘ্য বেইলি ব্রিজটি পার হওয়ার সময় ব্রিজের মাঝ প্রান্তে গিয়ে পাটাতন ভেঙে কভার্ডভ্যানটি সেখানে আটকে যায়। এতে বরিশাল—নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি)—এর সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

পাশাপাশি ব্রিজের দুই পাশে প্রায় তিন শতাধিক ছোট— বড় যানবাহন আটকা পড়ে। নেয়ামুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের অত্র অঞ্চলের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এই ভোগান্তি থেকে কখন মুক্তি পাবো জানি না। উল্লেখ্য বরিশাল (গড়িয়ারপাড়) থেকে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) যাওয়ার যে রাস্তাটি রয়েছে সেখানে এখনও ০৫ (পাঁচ)—টি বেইলি ব্রিজ ও অসংখ্য ছোট কালভার্ট রয়েছে।

ব্রিজগুলো অত্যন্ত ঝু৭কিপূর্ণ অবস্থানে আছে। প্রতিটি বেইলি ব্রিজের পাটাতন ভাঙ্গাচূড়া অবস্থানে আছে। এসকল ব্রিজ দিয়ে লোকজন চলাচল করার সময় প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছাত্র—ছাত্রীগণ যাতায়াতের সময় ইতঃপূর্বে ব্রিজ পারাপারের সময় ভাঙ্গা যায়গায় পা পরে হাত—পা ভেঙ্গেছে। পূর্বে বরিশাল—নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি),র এ সড়কটিতে কয়েকটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও অবশিষ্ট এই ০৫ (পাঁচ)—টি বেইলি ব্রিজ উঠিয়ে নিয়ে পাঁকা ব্রিজ নির্মাণ করলে অত্র অঞ্চলের জনগন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে।

রাত্র দশটায় অত্র রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেখা যায়, স্থানীয় জনগণ চেইন—কপ্পার মাধ্যমে কভার্ডভ্যানটি অপসারণের জন্য চেষ্টা করছেন কিন্তু এই সুদীর্ঘ ৪/৫ ঘন্টায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন কর্মকর্তাকে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এগুলো অপসারণ করা না হলে যেকোনো সময় এর চেয়েও আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় জনগণ মনে করেন। এতে হতাহতও হওয়ার আশঙ্কা আছে।