
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল মহানগরীর কেন্দ্রস্থলের প্রধান কয়েকটি সড়ক বাদে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিধ্বস্ত রাস্তাঘাটের দুরবস্থায় নাগরিক ক্ষোভের মধ্যে সিটি করপোরেশন ১৬টি প্যাকেজে শতাধিক সড়ক ও বিপুল সংখ্যক ড্রেন নির্মান ও পুণঃ নির্মান কাজশুরুর উদ্যোগ গ্রহন করেছে। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে একদফা সময় বর্ধিত করে দরপত্র গ্রহন সম্পন্নের পরে প্রস্তাবসমুহ মূল্যায়ন কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
বড় ধরনের কোন বিপত্তি সৃষ্টি না হলে আগামী আগষ্টের মধ্যে এসব সড়ক ও ড্রেন সমুহ নির্মান, সংস্কার ও পুণঃ নির্মানে কার্যাদেশ প্রদানের আশা করছে নগর ভবনের প্রকৌশল বিভাগ। ডিসেম্বরের আগেই পুরো নগরী যুড়ে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু হবে বলে নগর ভবনের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। প্রায় ৬০ বর্গ কিলোমিটারের বরিশাল মহানগরীর বিটুমিনাস কার্পেটিং, এইচবিবি, সিসি ও আরসিসি সড়ক ছাড়াও কিছু আধাপাকা ও কাঁচা সড়কের অনেকগুলো নাগরিক দূর্ভোগ সৃষ্টি করে আছে দীর্ঘদিন যাবত।
২০১৮ থেকে ’২৩ সালের নগর পরিষদের সময় সরকারী অর্থের যোগান বন্ধ সহ মেয়রের বিরাগভাজন বিভিন্ন কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডগুলোতে অতি জরুরী ও জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ড্রেন সমুহের সং¯কার সহ মেরামত কাজও বন্ধ ছিল। ফলে দীর্ঘ দিনের বঞ্চনায় নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ নুন্যতম নাগরিক সেবা থেকেও বঞ্চিত ছিল। এসব ওয়ার্ডের অপছন্দের কাউন্সিলদের কারণে এলাকাবাসীকে লাগাতার দূর্ভাগ পোহাতে হয়েছে। পাশাপাশি অর্থের অভাবও একটি বড় বিষয় ছিল।
২০১৮-’২৩ পর্যন্ত একটি বরিশাল মহানগরীর কোন উন্নয়ন প্রকল্পও অনুমোদন ও অর্থ ছাড় করেনি সরকার। ফলে বরিশাল মহানগরীর কাঙ্খিত কেন উন্নতি হয়নি। বেড়েছে জনদূর্ভোগ। তবে সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ক্ষমতা ছাড়ার কয়েক ঘন্টা পরেই প্রায় ৮শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। এর কয়েকদিনের মাথায়ই নতুন মেয়র আবুল খায়ের দায়িত্ব গ্রহন করেন।
তার সাড়ে ৮ মাসের ক্ষমতার আমলে নগর ভবনে কিছু শৃংখলা ফিরে আসে। তিনি সদ্য অনুমোদিত প্রকল্পটির আওতায় নগরীর বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ডের দরপত্র আহবানও করেন। প্রকল্পটি থেকে চলতি অর্থ বছরে ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্বও করা হয়। যার আওতায় কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। কিছু চলমানও রয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থ বছরে প্রকল্পটি থেকে প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকার ছাড় করতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে নগর প্রশাসন। সে লক্ষ্যে ১৬টি প্যাকেজে শতাধিক রাস্তা ও ড্রেন নির্মান, পুণঃ নির্মান ও সংস্কারের দরপত্র আহবান করা হয়েছে।