ঢাকাশুক্রবার , ৮ আগস্ট ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গলাচিপায় জ*ব্দ*কৃ*ত সেই মাছ উ*ন্মু*ক্ত নিলামে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ৮, ২০২৫ ২:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: পটুয়াখালীর গলাচিপায় তেতুলিয়া নদী থেকে অবৈধ ট্রলিং বোটসহ জব্দকৃত আনুমানিক ১২০ ক্যারেট সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আদালতের নির্দেশে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় গলাচিপা খেয়াঘাট সংলগ্ন নদীর তীরে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা, স্থানীয় সরকার শাখা ও প্রবাসী কল্যাণ শাখা) সাজন বসাক। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত নিলামে মাছগুলো ৩ লাখ টাকায়, অতিরিক্ত ২০% ভ্যাটসহ, সর্বোচ্চ দরদাতা গলাচিপার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিন ক্রয় করেন। নিলাম কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী, গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট রাতে গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী মৎস্য অফিসের যৌথ অভিযান ও চরমোন্তাজ ফাঁড়ি নৌ পুলিশের সহায়তায় চরবিশ্বাস ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদী থেকে এফ বি মায়ের আশীর্বাদ-৩ নামে একটি অবৈধ ট্রলিং বোটসহ ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। ট্রলিং বোটে থাকা মাছ ও অবৈধ জাল, অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছিল, যার মধ্যে এই মাছগুলো ছিল। আটক জেলেদের নিয়মিত মামলায় গলাচিপা থানা পুলিশ বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে ছিল—প্রায় ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ফিশিং বোট, ৪১৭ এইচপি মেশিন (মূল্য ৫ লাখ), ৬টি ট্রয়নেট (মূল্য ৪ লাখ ৫০ হাজার), ৪০টি লাল সূতার জাল (মূল্য ৪ লাখ), ১২০ মণ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ (মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার) এবং ৫ ব্যারেল ডিজেল (মূল্য ১ লাখ ১০ হাজার)।

সবমিলিয়ে জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৩ লাখ টাকা।জব্দকৃত মাছের মধ্যে ছিলো ইলিশ, চিংড়ি, লইট্টা, ছুরি, ক্যাট ফিস, রূপচাঁদা ও কোড়াল । গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত মাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ট্রলিং বোট ও অন্যান্য জব্দ সরঞ্জামাদি বর্তমানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নৌ পুলিশের হেফাজতে আলামত হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য জানান, সামুদ্রিক মাছ রক্ষার্থে অবৈধভাবে মাছ আহরণকারীদের রিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজন বসাক বলেন, আদালতের নির্দেশে আজকের উন্মুক্ত নিলাম পরিচালনা করেছি।

সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মো. মহিউদ্দিন ৩ লাখ টাকা ও ২০% ভ্যাট প্রদান করে মাছ ক্রয় করেছেন এবং টাকা পরিশোধ করে মাছ বুঝে নিয়েছেন। নিলামে বিক্রি হওয়া মাছের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, অবৈধ ট্রলিংয়ের মাধ্যমে নির্বিচারে মাছ আহরণ দেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং প্রজনন চক্রের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে জেলে আটক ও মাছসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।