
নিজস্ব প্রতিবেদক :: দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজী মহি উদ্দিন পলাশ (৩৩) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ মিললো ফ্রিজে। নিহত পলাশ গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পলাশের পাশ্ববর্তী এক দোকানদার বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
নিহত পলাশ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের কাজী আইয়ুব আলী মাস্টার বাড়ির কাজী আমিন উল্লার ছেলে। আট ভাই-বোনের মধ্যে পলাশ ছিলেন ষষ্ঠ।
নিহতের বড় ভাই কাজী সালা উদ্দিন মাসুম জানান, জীবিকার তাগিদে গত ২০১২ সালে আফ্রিকা পাড়ি জমান পলাশ। পরে আফ্রিকার উইটব্যাংক এলাকায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করে সে। টানা প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় পর দেশে এসে বিয়ে করে পলাশ। সবশেষ গত এক বছর আগে দেশে এসে ছুটি কাটিয়ে পুনরায় আফ্রিকা যায় সে। তার তিন বছর ও এক বছর বয়সী দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পলাশ দক্ষিণ আফ্রিকার সন্ত্রাসীদের ঝামেলা এড়াতে ওই দেশি এক যুবককে তার দোকানে চাকরি দেয়। গত কয়েক বছর ধরে ভালই চলছিল পলাশের ব্যবসা। হঠাৎ করে গত তিনদিন আগে দোকান থেকে নিখোঁজ হয় পলায়।
এ ঘটনার পর পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্য জায়গায় পলাশকে খোঁজে। বিষয়টি তারা আমাদেরকে বাড়িতেও জানিয়েছিলো। এলাকার লোকজনের মাধ্যমে আমরাও তার খোঁজখবর নিয়ে কোন সন্ধান পায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে একজন ব্যবসায়ী আমাদের জানায় পলাশের দোকানের ডিপ ফ্রিজের মধ্যে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। দোকানে চাকরি করা আফ্রিকান ওই ছেলেসহ সন্ত্রাসীরা পলাশকে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। পলাশের মরদেহ দ্রুত দেশে আনতে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।