ঢাকাবুধবার , ১৩ আগস্ট ২০২৫

পটুয়াখালী এলএ শাখা দু*র্নী*তি*র আখড়ায় পরিণত: কানুনগো ও সার্ভেয়ারদের বি*রু*দ্ধে অ*ভি*যো*গ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ১৩, ২০২৫ ৬:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের কে জিম্মি করে কয়েকজন দুর্নীতিবাজ অর্থলোভী ঘুষখোর কানুনগো ও সার্ভেয়াররা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখা কে দুর্নীতির অভয়াশ্রমে পরিণত করায় হতাশ হয়েছে সাধারণ জনগণ।

প্রতিনিয়ত নির্বিঘ্নে কোন বাধা-বিপত্তি ছাড়াই একের পর এক দুর্নীতি করে যাচ্ছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার কানুনগো ও কয়েকজন সার্ভেয়ার।এই শাখা এখন দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণ করার জন্য এক নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। এদের দুর্নীতি রুখে দেওয়ার মতো কেউ নেই এমন মন্তব্য করেছেন অনেক সেবা প্রত্যাশীরা।

পটুয়াখালী জেলার সাধারণ জনগণ যাদের সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদেরকে জিম্মি করে এলএ শাখার কয়েকজন সার্ভেয়ার মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।এসব অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা দিনের মতো স্বচ্ছ হলেও দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ারদের প্রতিবাদ করা এবং তাদের দুর্নীতির রুখে দেওয়ার মত কোন লোক কি নেই এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এখন পটুয়াখালী জেলার সাধারণ জনগণের মনের মাঝে।

যাদের জমি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে অধিগ্রহণ করা হয়েছে তারা যখন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখায় তাদের সম্পত্তি অধিগ্রহণের নোটিশ নিয়ে আসেন তখন তাদেরকে কানুনগো শহিদুল ইসলাম সার্ভেয়ার ফারুক, সার্ভেয়ার আরিফুল হক খোকন,সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম ,বিভিন্ন আইন কানুন দেখিয়ে তাদের থেকে সম্পত্তি অধিগ্রহণে যে টাকা আসে তা হতে ২০-২৫ পার্সেন্ট টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।এই সার্ভেয়ার দের রয়েছে একটি কঠিন ও শক্তিশালী দালাল চক্র যেই দালাল চক্রটি সবসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আশপাশে ঘুরাঘুরি করে এবং উক্ত সার্ভেয়ারদের সাথে দালালি করে।কয়েকদিন আগে এক ভুক্তভোগী থেকে ১৮ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখার সার্ভেয়ার এস এম মাসুদের নামে সাথে সাথে তাকে পটুয়াখালী জেলার সৎ নির্ভীক চৌকস জেলা প্রশাসক তাকে দশমিনা ভূমি অফিসে বদলি করেন সেখানে গিয়েও সার্ভেয়ার মাসুদের দালালি ও পার্সেন্টিজ নেয়ার কাজ থেমে নেই।আগে যাদের থেকে টাকা নিয়েছে তাদের কাজের জন্য উক্ত তিনজন সার্ভেয়ারের সাথে দরকষাকষি ও দালালি করে যাচ্ছেন সার্ভার এস এম মাসুদ।

এই কতিপয় দুর্নীতিবাজ অসাধু সার্ভেয়ার দের কারণে দিন দিন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকাণ্ড।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ারদের দুর্নীতি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়।

আরো অনেক ভুক্তভোগীরা জানান তারা শীঘ্রই উক্ত দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর সার্ভেয়ারদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর এবং বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর ও দুদকে অভিযোগ দায়ের করবেন। সেই সাথে তারা তাদের অসহায়ত্বের কথা প্রতিবাদী নেতা পটুয়াখালীর কৃতি সন্তান সাবেক ডাকসুর সভাপতি ও “গণ অধিকার পরিষদ” পার্টির সভাপতি ভিপি নুরুল হক নূরের কাছে ও জানাবেন বলে তথ্যসূত্রে জানা যায়।

 

পটুয়াখালী জেলার সচেতন নাগরিক গন বলেন দুদক সারা বাংলাদেশের অভিযান পরিচালনা করে এবং তাদের অভিযানের সুনামও রয়েছে দেরজুড়ে তারা যদি পটুয়াখালী এল এ শাখায় হঠাৎ একদিন অভিযান পরিচালনা করে তাহলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।দুদক প্রমাণ পাবে কি হারে দুর্নীতি হচ্ছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখায়।

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের চেয়ারম্যান এবং বরিশাল বিভাগের দুদকের পরিচালক ও পটুয়াখালী জেলার দায়িত্বরত দুদক অফিসারদের অনুরোধ করে তারা বলেন আমরা চাই শীঘ্রই দুদুকের একটি অভিযান পটুয়াখালী এল এ শাখায় পরিচালনা করা হোক এবং বিগত দিনে যারা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখা থেকে সম্পত্তি অধিগ্রহণের টাকা নিয়েছে তাদের সাথে কথা বললেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।

পটুয়াখালী জেলার সাধারণ জনগণ চায় যাদের থেকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ার গন টাকা নিয়েছে তাদের সকলের টাকা যাতে এই দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ার রা ফেরত দেয় সেই ব্যবস্থা যদি প্রশাসন এবং দুদক করত তাহলে এটি একটি বাংলাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতো।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন হলো অন্যতম একজন দুর্নীতিবাজ যার রয়েছে অঢেল সম্পত্তির পাহাড়।ফারুকের সম্পত্তির ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে খুব শীঘ্রই কোথায় কোথায় ফারুকের অবৈধ সম্পত্তি আছে তা জাতির কাছে তুলে ধরা হবে।

দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর সার্ভেয়ার ফারুক পটুয়াখালী জেলার যেই এলাকায় সম্পত্তি সরকার অভিগ্রহ করবে তা আগে জেনে তার বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের নামে বেনামে সম্পত্তি কিনে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত অভিযোগের প্রমাণাদি অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
যখন ফারুকের কাছে জানতে চাওয়া হয় এল এ কেস নং-১৬/২০১৭-২০১৮ মৌজা-চর বলিয়াতলী খতিয়ানসমূহ- ২৯২, ৩০০, ৩৮৩, ৩৮৪, ৩৮৭, ৩৯০, ৩৯১, ৪০২, ৪০৬, ৪০৭, ৪০৮, ৪০৯, ৪১২। এর তথ্য দিন বা দেওয়া যাবে কিনা তখন তিনি আনতাম তা করা শুরু করেন এরপর আর ফোন রিসিভ করেন না। উক্ত কেসে প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে নিয়েছে ফারূক।উক্ত কেসের মালিক যারা ছিলেন তারা সবাই ফারুকের ঘনিষ্ঠ ভাজন এমনকি ময়মনসিংহ, ঢাকা, নরসিংদীর লোকেরাও আছেন যা ফারুকের কারসাজি। ফারুকের রয়েছে পটুয়াখালী বরিশাল ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। কিছু সম্পত্তির তথ্য প্রতিবেদকের হাতে আসছে বাকি তথ্য আসার পরে সকল সম্পত্তির বিবরণী সহ সংবাদ প্রকাশ করা হবে। একজন হতদরিদ্র ঘরের সন্তান হয়ে কিভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন সার্ভেয়ার ফারুক এমন প্রশ্ন প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খাচ্ছে ফারুকের এলাকায়।

 

এখন সকল জনগণে প্রশ্ন হল পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উক্ত ঘুষখোর সার্ভেয়ারদের খুঁটির জোর কোথায়।

ধারণা করা হচ্ছে ছাগল কান্ডের মতিউর ও প্রশ্ন ফাঁস কান্ডের আবেদ আলী কে হার মানিয়েছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দুর্নীতিবাজ কানুনগো মোঃ শহিদুল ইসলাম যার রয়েছে বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সিএমবি রোডে আলিশান কোটি টাকার বাড়ি ও সার্ভেয়ার মোঃফারুক হোসেন এর রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।

ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায়ের পরে সাধারণ মানুষ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এ ধরনের হয়রানি হবে তা মেনে নিতে পারছে না।খুব শীঘ্রই এই দুর্নীতির দুর্গের ব্যাপারে রুখে দাঁড়াতে হবে স্থানীয় ভুক্তভোগীদের জন্য এমন মন্তব্য করছেন সচেতন মহল।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলএ শাখার কানুনগো এবং সার্ভেয়ারদের অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন কে ফোন করলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব কারো কোন অভিযোগ থাকলে লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন আমার বরাবর।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর সার্ভেয়ারদের দুর্নীতির ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওসার বলেন আমার কাছে দুর্নীতি অনিয়ম এর কোন ঠাঁই নেই। যদি কোন অনিয়ম দুর্নীতি করে থাকে আমি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। জানা যায়, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সৎ নির্ভীক আদর্শবান একজন চৌকাস অফিসার।

সকল অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে একাধিক ভুক্তভোগীরা বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ দেবেন এবং এবং এই ঘুষখোর সার্ভেয়ারদের অঢেল সম্পত্তির বিষয় দুদকে লিখিত অভিযোগ দিবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।সেইসব অভিযোগ এর বিষয় এবং সকল দুর্নীতির ফিরিস্তির এবং সার্ভেয়ার ফারুক হোসেন,সার্ভেয়ার আরিফুল হক খোকন, ও সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম এর দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়ের সংবাদ আগামী পর্বে প্রকাশ করা হবে।তাই চোখ রাখুন পত্রিকার পাতায়।