
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ছাত্রলীগের মাজহার এখন এনসিপি নেতা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রধান সমম্বয়কারী মো. মাজহারুল ইসলাম মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। পুলিশের পলাতক আসামির অনলাইনের তালিকায় তার নাম রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
গৌরনদী কলেজে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন বলে।
গত ২১ আগস্ট মাজহারুলকে প্রধান সমন্বয়কারী করে ২৫ সদস্যের আগৈলঝাড়া উপজেলা এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক হাসানাত আব্দুল্লাহ কমিটি অনুমোদন দেন।
কমিটি প্রকাশের পরই মাজহারুল ইসলামের মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
মো. মাজহারুল ইসলাম বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের চক্রিবাড়ি গ্রামের নিজামুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশের পলাতক আসামির অনলাইন তালিকা আগৈলঝাড়া থানায় তার নাম রয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি আদালতের আদেশে মাদক মামলায় মাজহারুলকে সাজা দেয়া হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এজাহারে অভিযুক্ত তিনি। তবে ওই কাগজে সাজার মেয়াদ লেখা নেই।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মো. মাজহারুল ইসলাম (নিপু) তার কলেজ জীবনে গৌরনদী কলেজের নিষিদ্ধ ঘেষিত ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি কোন পদে ছিলেন তা কেউ বলতে পারেন নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাজহারুল আমার দেশকে জানান, আমার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য না। আমি কলেজ জীবনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বন্ধুদের সাথে চলাচলা ছিলো। আমি কখনো কোনো রাজনৈতিকদলে সক্রিয় ছিলাম না। আমি সক্রিয়ভাবে এনসিপির সাথে যুক্ত আছি। আমার নামে যে মাদক মামলা ছিল, তা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত থেকে খালাস পেয়েছি। এরপরে আমার নামে কোনোদিন মাদক মামলা হয়নি। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার পিতা বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
এনসিপির বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসা সাংবাদিকদের বলেন, আগৈলঝাড়ার সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে মাদক মামলার প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. অলিউল ইসলাম আমার দেশকে জানান, পলাতক আসামির অনলাইন তালিকায় মাজহারুল ইসলামের নাম আছে কিনা সেটা তার জানা নেই। তার নামে আগৈলঝাড়া থানায় কোনো ওয়ারেন্টও নেই।
অথচ, আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ পরির্দক সুশংকর অনলাইনে চেক করে জানান, পুলিশের পলাতক আসামির অনলাইনের তালিকায় তার নাম রয়েছে। মাজহারুল ইসলামের নাম রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।