ঢাকারবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে এসআই শহিদুলের ঘুষ বাণিজ্যে বাদী ঘরছাড়া, ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিভাগের  পটুয়াখালী জেলায়  বাউফল উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার এক নারী থানার আশ্রয় নিলেও পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যের কারণে শেষ পর্যন্ত ঘরছাড়া হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের উত্তর মোমিনপুর ৯ নং ওয়ার্ডে। কেশবপুর ইউনিয়নের উত্তর মোমিনপুর ৯ নং ওয়ার্ডে জমি জমাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জয়নাল হাওলাদারের দুই ছেলের মধ্যে এ ঘটনাটি ঘটে ।

বাদী সালমার কাছ থেকে জানা যায় যে গত ১০ /৫/২৫ ইং তারিখ জমির সীমান্তের কাইফুলা গাছ বড় ভাই আবুল কালাম আবু কেটে নেওয়া ছোট ভাই মাহবুব হাং জিজ্ঞাসাবাদ করায় তাকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন আবুল কালাম আবু এবং স্ত্রী মাকসুদা বেগম ছেলে শয়ন হাওলাদার। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে অভিযোগ আলোকে তদন্ত করেন এএসআই শাইন ।ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরও আসামিদের সাথে ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ওসির সাথে আলাপ আলোচনা করে বাদীকে দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে একটি জিডি করান। জিডি ট্রাকিং নং G833NZ জিডি নং ৫৪৯ তারিখ ১২/ ৫ /২০২৫ ইং এবং আমাকে বলেন মামলা করে দিয়েছি । উক্ত বিষয়ে এলাকার লোকজনদের দেখালে তারা বলেন এটা তো কোন মামলা কাগজ নয় এটা একটি সাধারণ ডায়েরি ।এ বিষয়ে ওসি স্যারের সাথে আলাপ করলে তিনি ধমকের সাথে আমাকে বলেন আপনি আমার চেয়ে বেশি জানেন যা করে দিয়েছি সেটাই মামলা এখন আপনি বাড়িতে যান। অতঃপর আমি উক্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করিলে সাংবাদিকগণ পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করিলে পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে উক্ত দিন সন্ধ্যায় একটি পূর্ণাঙ্গ মোকদ্দমা রেকর্ড করেন যা জিআর নাম্বার ১২৬ থানা মামলা নাম্বার ৭ তারিখ ১২ /৫/২৫ ইং ধারা ৩২৩ ৩২৪ ৩৬০ ৫০৬ দন্ডবিধি দায়ের করেন। উক্ত মামলাটি তদন্তের ভার মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের উপর ন্যস্ত করা হয় । এসআই শহিদুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ আখতারুজ্জামান সরকার আমাকে ইঙ্গিতে হুমকি প্রদান করেন উপরের নির্দেশে মামলাটি রুজু করতে বাধ্য হলাম। বিষয়টির নজরে রইল।অতপ্রেক্ষিতে এসআই শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় বিবাদী পক্ষের সাথে তার দহরম মহরম সম্পর্ক আমাদেরকে হতভাগ করে এবং অপরদিকে বাদী হিসেবে আমাকে এবং সাক্ষীদের ভয়-ভীতির উপরে রাখেন এবং বলেন যদি বেশি বুঝতে চান তাহলে এমন মামলায় জড়াবো ১৪ বছরেও জামিন পাবি না । ইতিমধ্যে এসআই শহিদুল ইসলাম বিবাদীর কাছ থেকে ( ২০০০০) বিশ হাজার(১৫০০০) পনেরো হাজার (১৩০০০)তের হাজার(১২০০০) বারো হাজার টাকা মোট ৬০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন। উক্ত বিষয়ে বিবাদী আসামি আবুল কালাম আবুর কথোপকথনকৃত রেকর্ড স্পষ্ট হয়। পরবর্তীতে বাদি হতাশ হইয়া পড়েন এবং এসআই শহিদুল ইসলামের কাছে যান ।শহিদুল ইসলাম তাহার কাছে ১০ হাজার টাকা ঘুষ চান ।বাদির কাছে তখন ১৫০০ টাকা ছিল। উক্ত ১৫০০ টাকা নিয়ে যান এবং বাকি টাকা দিলে চার্জশিট দিব ।এসআই শহিদুল একজন ঘুষখোর ।কথিত আছে তিনি বরিশাল রুপওয়াতলী আদর্শ সড়ক সংলঙ্গ বহুতলা বিশিষ্ট রাজকীয় ভবন নির্মাণ করেন। এসআই শহিদুল বাদী বিবাদীর উভয়ের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেন। বিবাদীর কাছ থেকে ঘুষ বেশি গ্রহণ করিয়া বাদীর মামলাটির সত্য হওয়ার পরও FRTদেন এবং উক্ত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাকে কোন অবহিত করেনি ।আমি এসআই সহিদুল ইসলামের বিষয়ে ও অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা সহ যথাযথ বিচার চাই।