ঢাকাশনিবার , ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সড়কে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া! চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী!

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫ ৫:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামের ইউনুস হাওলাদার বাড়ি থেকে খয়রাবাদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা মাটির সড়কটিতে বর্ষা মৌসুমে মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা-পানির সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি ও কাদামাটি একাকার হয়ে যায় পুরো সড়ক। এতে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার শত শত মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা রাস্তাটিতে ইটের ছোঁয়া না লাগায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েক যুগ ধরে সড়কটিতে কোন সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। যে কারণে সড়কটি এখন সমতল ভূমির সাথে সমান হয়ে গেছে। সড়কটিতে কোন প্রকার যানবাহন না চলায় স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ বৃদ্ধ মানুষ।

সাহেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক মল্লিক বলেন, আমার বয়স ৭২ বছর সেই ছোটবেলা থেকেই রাস্তাটি কাঁচা দেখে আসছি। কাঁদামাটিতে এখনো চলাফেরা করছি। ঝড় বৃষ্টি হলে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে না। আমরা মসজিদে যেতে পারি না। এই রাস্তার পরের অনেক রাস্তা পাকা হয়ে গেছে কিন্তু এই রাস্তা পাকা হয়নি। বিভিন্ন সময় নির্বাচন আসলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করার কিন্তু নির্বাচন হয়ে গেলে আর কেউ খবর রাখেনি। শত বছরেও দেড় কিলোমিটার সড়ক পাকা না হওয়ায় এভাবেই নিজেদের দুর্ভোগ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

 

গারুড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কাইউম খান বলেন, বরিশাল প্রজেক্টের মাধ্যমে সড়কটি উন্নয়ন করার চেষ্টা করতেছি। এই প্রজেক্টে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ আসলে সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী হাসনাইন আহমেদ বলেন, সড়কটির খোঁজখবর নিয়ে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে।