ঢাকাবুধবার , ১২ নভেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অপহরণের চারদিন পর মিললো ক্যামব্রিয়ান শিক্ষার্থী সুদীপ্তর মরদেহ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
নভেম্বর ১২, ২০২৫ ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক  :: ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ : দাবিঅপহরণের চারদিন পর মিললো ক্যামব্রিয়ান শিক্ষার্থী সুদীপ্তর মরদেহ।

 

রাজধানীর দিয়াবাড়ি থেকে ক্যামব্রিয়ান কলেজের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত রায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ৭ নভেম্বর রাতে অপহরণের শিকার হন সুদীপ্ত। পরে তার বাবার কাছে ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শাহ আলী থানার দিয়াবাড়ি এলাকার এক বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুদীপ্ত রায় রাজধানীর বারিধারায় ক্যামব্রিয়ান কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ভাটারার শহীদ আব্দুল আজিজ সড়কে ক্যামব্রিয়ান কলেজের হোস্টেলে থাকতেন। এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার রাতে শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান মাহমুদ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শাহ আলী থানার দিয়াবাড়ি এলাকার একতা টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে শিক্ষার্থী সুদীপ্ত রায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে মরদেহের সুরতহালের কাজ চলছে। কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা পরে জানানো হবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

 

এ বিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, গত ৭ নভেম্বর রাতে অপহরণের শিকার হন সুদীপ্ত। পরদিন ৮ নভেম্বর সুদীপ্তর বাবা হিমাংশু কুমার রায় ভাটারা থানায় অপহরণের একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

হত্যার ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হত্যার পর আসামি দুজন টাঙ্গাইলের মধুপুরে পালিয়ে যান। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের ঢাকায় আনা হচ্ছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারেরও চেষ্টা চলছে।

ভাটারা থানার ওসি আরও বলেন, বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন শিক্ষার্থী সুদীপ্ত রায়। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পেতে পুলিশ চেষ্টা করে। আজ মঙ্গলবার তার মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

গত ৭ নভেম্বর দিনগত রাত ২টা ৪০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি শিক্ষার্থী সুদীপ্ত রায়ের মাকে ফোন করে জানায়, ৮০ লাখ টাকা নিয়ে না আসলে ছেলেকে মেরে ফেলা হবে। পুলিশসহ অন্য কাউকে জানানো যাবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয় ফোনে।

শিক্ষার্থী সুদীপ্ত রায়ের বাবা হিমাংশু কুমার রায় বলেন, ৮ নভেম্বর দুপুরে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ফোন করে আবারও মুক্তিপণের ৮০ লাখ টাকা রেডি রাখতে বলে। এক ঘণ্টা পর আবারও ফোন দেবে বলে জানায়।