
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের একটি সহ বিভাগের তিন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। গত ৩ নভেম্বর সারাদেশে যে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিলো সেখানে এ তিন আসন তালিকায় ছিলোনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এসব আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন খালি ছিলো। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান সহ আরো দুইজন। মনোনয়ন পাওয়া জয়নুল আবেদীন এ আসনে সবশেষ ২০১৮ সালে দলীয় টিকিট পেয়েছিলেন। কিন্তু ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা গোলাম কিবরিয়া টিপুর কাছে পরাজিত হন। যদিও এ নির্বাচন ছিলো অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ। আসনটি ২০০৮ সাল থেকে জোটের দখলে ছিলো। সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বেগম সেলিমা রহমান। কিন্তু তিনিও জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপুর কাছে হেরে যান। সেবার মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছিলেন জয়নুল আবেদীন। রাজাপুর-কাঠালিয়া নিয়ে গঠিত ঝালকাঠী-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল। তিনি এ আসনে প্রথমবার নির্বাচন করেছিলেন ২০০৮ সালে। সেবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএইচ হারুনের কাছে পরাজিত হন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি দ্বিতীয়বারের মত ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ওই নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থী হারুনের কাছে পরাজিত হন জামাল।
বাউফল উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার। তিনি ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপির সংস্কারপন্থীদের তালিকায় থাকায় দল থেকে তার সকল ধরনের সদস্যপদ স্থগিত করা হলেও ২০১৮ সালে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়। ওইবছর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংংসদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।


