ঢাকামঙ্গলবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাকেরগঞ্জে একটি অ্যাম্বুলেন্সেই ভরসা ১৪ ইউনিয়নের মানুষের : দুর্ভোগ ভোগান্তির কোন শেষ নেই

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ ২:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে : একটি অ্যাম্বুলেন্সেই ভরসা ১৪ ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ ভোগান্তির কোন শেষ নেই 

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরে দুটি অ্যাম্বুলেন্স বছরের পর বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। রোদ-বৃষ্টিতে দরজা-জানালা মরিচা ধরে ভেঙ্গে গেছে। মরিচা ধরেছে যন্ত্রপাতিতেও। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য একজন চালক ও একটিমাত্র অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এতে রোগী পরিবহনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার প্রান্তিক জনসাধারণের। তাদের বেশি ভাড়া দিয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ উপজেলার বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের পেছনে গ্যারেজ সংলগ্ন খোলা আকাশের নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স দুটি। দরজা, জানালা খসে পড়ছে। ভিতরে যন্ত্রাংশের বেশিরভাগই নেই। সেগুলো চুরি হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। অবশিষ্ট যন্ত্রাংশ মারিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। অ্যাম্বুলেন্স দুটি মেরামত করে সচল করার মতো অবস্থায় নেই।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকেই অ্যাম্বুলেন্স দুটি নষ্ট হতে শুরু করে। পরে সে বছরই নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার পর সেটাই ব্যাবহার করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে পুরানো দুটি পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। এখন একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একজন চালকের রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় জরুরি রোগীদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন করতে হয়।

উপজেলার কবাই ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহাগ মিয়া বলেন, ‘সম্প্রতি আমার বাবা হৃদরোগ আক্রান্ত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার বরিশাল নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তখন জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। পরে বেশি ভাড়া দিয়ে বেসকারি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যাই।’

রঙ্গশ্রী এলাকার আল-আমীন হাওলাদার বলেন, ‘আমার এক আত্মীয়কে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম। রোগীর অবস্থা একটু খারাপ দেখলেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা বরিশাল মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তখন সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি সঠিক সময় পাওয়া যায়নি। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। অনেকেই আর্থিক দুর্বলতায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া সম্ভব হয় না। নিরুপায় হয়ে সিএনজি-অটোরিকশায় রোগীদের নিয়ে যেতে হয়। তখন রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।’

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ বরিশালের সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান বলেন, ‘বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের অনুপযোগী। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’