ঢাকাবুধবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নৌকায় ভোট না দিলে হাড্ডি মাংস এক করে ফালামু

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ ৩:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: নৌকায় ভোট না দিলে হাড্ডি মাংস এক করে ফালামু

মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকায় ভোট না দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হাত কেটে নেওয়ার ও হাড্ডি-মাংস এক করে ফেলার হুমকি দিয়েছেন সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী ইস্কান্দার। এমকি তাঁদের গুলি করার ও হুমকি দেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিঙ্গাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ টুলুর কর্মীদের এই হুমকি দেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতার এই হুমকি দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর থেকে জেলায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ইরতা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহম্মদের অনুসারী আবদুর রাজ্জাক, মো. মিনহাজ, আমিনুর রহমান, শাহিনুর রহমান ও মো. মানিকসহ বেশ কয়েকজন যুবক ট্রাক প্রতীকে ভোট চেয়ে ছোট পোস্টার (হ্যান্ড বিল) বিতরণ করছিলেন।

এ সময় সেখানে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে উপস্থিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আলী ইস্কান্দার। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হাত কেটে নেওয়াসহ নানা হুমকি-ধামকি দেন। পরে তা সামামিজ যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আলী ইস্কান্দারকে উচ্চস্বরে বলতে শোনা গেছে, ‘ডা. জিলকদ (তাঁর ভাই) নমিনেশন নিয়া আসছিল। জিলকদ ভাইকে ভোট দেয় নাই। এবার আমার দেখার আছে। আমি তো ভেতরে থাকব। নৌকাকে ভোট না দিলে হাত কাইটা ফালামু। আমি ইস্কান্দার।

জিলকদের ভাই আমি। জিলকদকে ভোট দেয় নাই। এখানে ঘা। হাত কাইটা ফালামু। রেডি থাইকো। সাহস থাকলে পাল্লা লইবা আমার লগে। কে আছে আমার এগিনেষ্টে যাবে। লজ্জা করে না তোমাদের। দেখার আছে আমার। খোদার কসম, দেখার আছে এইবার।

চৌদ্দ শিকে ঢুকাইয়া ছাইরা দিমু। সরকার আমার, পাওয়ার আমার, প্রশাসন আমার, এমপি আমার। যাইও ভোট দিবার, যাইও ট্রাক মার্কায়। ট্রাকের চাকার তলে ফালাই দিমু। ফাজলামো। হাড্ডি-মাংস এক কইরা ফালামু, প্রত্যেকটাকে গুলি করব।’

হুমকি দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী ইস্কান্দার বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা টাকা ও চকলেট বিতরণের খবর শুনে সেখানে যাই। আমার ভাই মরহুম ডা. জিলকদ হোসেন একসময় নৌকার প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা ভোট দেননি। এ কারণে উত্তেজিত হয়ে তাঁদের অনেক কথা বলেছি। রাগ নিয়ন্ত্রন করতে পারিনি।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম বলেন, এ ধরণের হুমকি-ধামকি শুধু আচরণবিধির লঙ্ঘনই নয়, মারাত্মক অপরাধ। এ ধরণের হুমকি-ধমকিতে সাধারণ ভোটারেরা শঙ্কিত হয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে তাঁরা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু বলেন, বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটিকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।