ঢাকারবিবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

বরগুনা-১ : শম্ভুর পক্ষে টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল : এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা 

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩ ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরগুনা-১ : শম্ভুর পক্ষে টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল : এলাকায় আলোচনা সমালোচনা।

 

বরগুনা-০১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর পক্ষে টাকা দিয়ে নারীদের মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত করানোর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) শম্ভুর পক্ষে আমতলী পৌরসভার এক কাউন্সিলরের টাকা বিতরণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে টাকা বিতরণের বিষয়টি ‘দান’ হিসেবে দেখছেন ওই কাউন্সিলর।

এদিন সন্ধ্যায় ভিডিওটি প্রতিবেদকের হাতে আসে। এতে দেখা যায়, আমতলী পৌরসভা মিলনায়তনে ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মীর নারীদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে টাকা বিতরণ করছেন। তার পেছনেই রয়েছে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ব্যানার। এ সময় সেখানে আরেকজন নারী কাউন্সিলরও উপস্থিত ছিলেন।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা জানান, চাওড়া ইউনিয়নে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর প্রচারণা সমাবেশ সামনে রেখে নারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার আমতলী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক করা হয়।

পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নৌকার প্রচার কার্যালয়ে ডেকে শতাধিক নারীকে নগদ টাকা বিতরণ করা হয়। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণ করেন পৌর কাউন্সিলর ও আমতলী পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান মীর। এ সময় টাকা বিতরণের প্রমাণ রাখার জন্য ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়।

ওই সভায় উপস্থিত থেকে টাকা নিয়েছেন এমন কয়েকজন নারী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুক্রবার চাওড়া ইউনিয়নে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর প্রচার সভায় মিছিল নিয়ে উপস্থিত থাকতে তাদের টাকা দেওয়া হয়েছিল। কয়েকজন নারী অভিযোগ করে বলেন, তারা টাকা বিতরণের ছবি তুলে রাখে যাতে অন্যদের প্রচার সভা কিংবা মিছিলে গেলে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা-০১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ছরোয়ার ফোরকান বলেন, ‘এটা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার। ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর জনসভায় নারীদের টাকার বিনিময়ে উপস্থিত করানো হয়, এর চেয়ে অধঃপতন আর কি হতে পারে? টাকা দিয়ে বিভিন্ন সমাবেশে লোক নিচ্ছেন আমতলী পৌরসভার মেয়র, এমন অভিযোগ আগেও পেয়েছি। একদিকে তারা পেশিশক্তি ব্যবহার করে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে। অন্যদিকে কালো টাকার বিনিময়ে লোক হাজির করছে। বিষয়টি আমি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করব।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মীর বলেন, ‘আমি একজন কাউন্সিলর। আমি প্রায়ই গরীব মানুষের মধ্যে টাকা বিতরণ করি। এখানেও আমার পক্ষ থেকে টাকা বিতরণ করা হয়েছে।’ নির্বাচন চলাকালীন সময় টাকা দেওয়ার বিষয়টি আচরণবিধির লঙ্ঘন কিনা জানতে চাইলে তিনি সংযোগ কেটে দেন।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘যদি টাকা দেয়ার সময় আমরা হাতেনাতে ধরতে পারতাম তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় ব্যবস্থা নিতে পারতাম। যেহেতু সেটা হয়নি, ভিডিওটি দেখার পরে আমরা নির্বাচন কমিশনের অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’