রাজিব তাজ :: অপরাধ যেখানে ব্যপ্তি আকারে, প্রশাসন সেখানে কঠোর হুশিয়ারে।
চুরি ও ছিনতাই, সামাজিক দাঙ্গা ও নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে জন সাধারণের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইয়াছিনুল হক। গত দুই মাসে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকেই একাধিক মাদক ব্যবসায়ী ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আটক করে রীতিমতো অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করে জন সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে।
বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে যোগদানের পর থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে একের পর এক সততা ও নিরলস পরিশ্রম দিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। পুলিশের এই কর্মকর্তার প্রশংসা করে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সুশীল সমাজের একাংশ বলেন, মেহেন্দিগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে একের পর এক যে অভিযান পরিচালনা করছেন তা সত্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
মেহেন্দিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজেম আলী লিটন বলেন, ক্যারাম, তাস, জুয়াসহ অবৈধ খেলা নিয়ন্ত্রণ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে তিনি যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন এভাবে পদক্ষেপ নিলে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে বলে আমি মনে করি।
মেহেন্দিগঞ্জের শিক্ষক ও লেখক জাহাঙ্গীর শাহরিয়ার বলেন, ওয়েল বিগিনিং ইজ হাফ ডান (ভালো শুরুটা অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করে) তাই ওসি সাহেবের শুরুটা অনেক ভালো, যদি এভাবে শেষটাও ভালো থাকে তাহলে তার মাধ্যমে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা একদিন মডেল উপজেলায় পরিণত হবে। এবং মাদক, ইভটিজিং, তাস, জুয়ার মতো অপরাধ কে যদি দমন করা যায়, তাহলে মেহেন্দিগঞ্জের আমূল পরিবর্তন হবে বলে আমি আশাবাদী। এছাড়াও বিশেষ করে যুব সমাজ কে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না, এরা আমাদের সম্পদ, এদের কে বিপদগামী থেকে রক্ষা করতে হবে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানায় সেবা নিতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ওসি স্যারের ব্যবহার অনেক ভালো তাছাড়া থানায় কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে বলেও জানান তারা।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হক বলেন, জনগণ পুলিশের বন্ধু, জনগণের সেবায় পুলিশের মুখ্য দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন, যেদিন থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে দিয়েছি সেদিন থেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিবেদিত রেখেছি পাশাপাশি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একক অর্জন বলে কোন কথা নেই যা কিছু অর্জন হয় তা আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়। মোঃ ইয়াছিনুল হক আরো বলেন, যোগদান করার পর প্রথমই থানা এসে সেবাগ্রহীতা ও বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য আমার দরজা উন্মুক্ত করে দেই। যে কারণে কোন লোক নিয়ে আসতে হয় না। সরা সরি আমার সঙ্গে দেখা করে মনের কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে, মাদক নিয়ন্ত্রণে ও অপরাধ দমনে কাজ করছি। অসংখ্য অপরাধী কে গ্রেপ্তার করেছি। যতদিন মেহেন্দিগঞ্জে থাকবো, মাদকের বিরুদ্ধে, অপরাধ দমনে কাজ করবো, দালাল ও তদবিরবাজদের প্রশ্রয় দিব না, সাধারণ মানুষের জন্য ওসির দরজা থাকবে উম্মুক্ত।