ঢাকাসোমবার , ১ জানুয়ারি ২০২৪

বরিশাল-৬ আসন : নৌকার কর্মীকে “হুমকি” পৌরমেয়র লোকমানকে শোকজ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জানুয়ারি ১, ২০২৪ ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৬ আসনে নৌকার সমর্থককে হুমকির অভিযোগে বাকেরগঞ্জ পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। লোকমান বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সামসুল আলম চুন্নুর সমর্থক। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয় সরিয়ে দেওয়ার হুমকির ঘটনায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও নৌকার প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্লিকের সমর্থক কামাল হোসেন তালুকদারকে শোকজ করা হয়েছে। রোববার বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ মাহাদী হাসান স্বাক্ষরিত আলাদা চিঠিতে তাদের শোকজ করা হয় বলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান।
চিঠিতে আগামী ৩ জানুয়ারি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। মেয়র লোকমানের নোটিসে উল্লেখ করা হয়, ২৯ ডিসেম্বর নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাজিফ মল্লিক নির্বাচন কমিশনে লোকমানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

“অভিযোগে ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার কলসকাঠীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উঠান বৈঠকে নৌকার সমর্থকদের পাঁচ মিনিটও মাঠে টিকতে দেবেন না, এমন বক্তব্য দেন লোকমান। এ বিষয়ে অভিযোগকারী কমিশনে ভিডিও ফুটেজও দাখিল করেন।”

মেয়রের এমন বক্তব্য সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ১১ (ক) লঙ্ঘন করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে ৩ জানুয়ারি নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিসের বিষয়ে পৌর মেয়র লোকমান সাংবাদিকদের বলেন, “আমি কোনো নোটিস পাইনি।”

নৌকার সমর্থক কামালের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার নিয়ামতির মহেষপুর বাজারে নৌকার কর্মী সভায় দেওয়া বক্তব্যে কামাল বলেন, “ট্রাক প্রতীকের কোনো অফিস রাখতে দেবেন না।” প্রমাণস্বরূপ তার বক্তৃতার ভিডিও ফুটেজ সংযুক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় কামালের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে ৩ জানুয়ারি নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিস পাওয়ার বিষয়ে নৌকার সমর্থক কামাল হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।’