নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে মারামারিতে আহত হয়েছেন দুই নারীসহ ছয়জন। এছাড়া ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপনের প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকালে সদর উপজেলার শায়েস্তবাদ ইউপির হবিনগগর ও নগরীর মেজর এম এ জলিল রোডে পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপনের কর্মী লিটন ফকির, তানিয়া বেগম ও রুমা বেগম এবং নৌকার প্রার্থী কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক শামীমের কর্মী কালু হাওলাদার, তার ছেলে তামিম ও নুরুল ইসলাম হাওলাদার।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একই বাড়ির আত্মীয়-স্বজনরা নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থক। ট্রাকের কর্মীদের কটুক্তি নিয়ে তর্ক হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ মারামারি করেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপনের স্ত্রী মিফতাহুল জান্নাত লুনা বলেন, বটতলা বাজার ও নবগ্রাম রোড (মেজর এম এ জলিল রোড) সংলগ্ন এলাকায় ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর গণসংযোগ শুরু করি। সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করে লিফলেট দেওয়ার শুরুতেই হঠাৎ নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা এসে বাধা দেয়।
তিনি আরও বলেন, শুধু বাধা দেওয়াই নয়, আমাদের হাত থেকে লিফলেট নিয়ে টেনে ছিঁড়ে ফেলে। পাশাপাশি নৌকার পুরুষ কর্মী-সমর্থকরা আমাদের উদ্দেশ্য করে অশালীন কথাবার্তা, গালি-গালাজও করে। তারা আমার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে ভেঙে ফেলে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ট্রাক প্রতীকের কর্মী শ্রাবন্তী বাড়ৈ আখি বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা আমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তারা আমাদের হাত ধরে টানাটানি করার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। প্রার্থীর স্ত্রীর মোবাইল ভেঙে ফেলে, সেই সঙ্গে তারা নৌকার বাহিরে কোনো কিছু করার দরকার নেই বলে এলাকা ত্যাগের জন্য বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে এ ঘটনা চলার সময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে এসে ছবি নিতে গেলে তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং বাধা দেয় হামলাকারীরা। পরে পুলিশ আসলে তারা চলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন দাবি বলেন, যে ছেলের কথা তারা (ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা) বলছে, সেই ছেলেকে আমরা চিনি না। এ ধরণের কোনো কর্মী আমাদের নেই। তাকে পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে।
জসিমের দাবি, ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন নিজেরাই হট্টগোল বাধিয়ে নৌকার লোকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।