নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালীতে যুবককে আটকে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী নির্যাতনের অভিযোগ।
পটুয়াখালীর সদর টাউন কালিকাপুর এলাকায় জাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে থানার হাজতে আটকে কয়েক ঘন্টা ব্যাপী নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পর ওই যুবক যে কোন লোক দেখলে চমকিয়ে ওঠে।
এমন বর্বরতা হামলার ঘটনা বলতে গিয়ে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন যুবকের মা নাসিমা বেগম।
তিনি জানান, নাসিমা বেগম কাপড় ব্যবসায়ী, বড় চৌরাস্তা সংলগ্ন বস্ত্র বিতান নামে তার একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। ওই ব্যবসার দেখাশোনা করেন ছেলে জাহিদুল ইসলাম।
গত ২৫ শে মার্চ ওই এলাকার জুয়েলের দোকান চুরি সংগঠিত হয়।
তখন জুয়েল সাক্ষী দেওয়ার জন্য জাহিদুল ইসলামকে ডেকে আনে।
সাক্ষীতে রাজি না হলে জাহিদুল ইসলামের উপর ক্ষিপ্ত হয় জুয়েল। তারই ষড়যন্ত্রে থানা পুলিশকে দিয়ে জাহিদের উপর ফাঁসাতে পরিকল্পনা করা হয়।
নাসিমা বেগম আরো জানান,
চুরির বিষয় ২৬ শে মার্চ আমার ছেলে জাহিদুল এর কাছে জানতে চায় পটুয়াখালী থানার এস আই আমিনুল ও মোশাররফ। তখন আমি মা হয়ে বলি আমার ছেলে কিছুই জানে না ও বলতেও পারবে না।
বলার পর আমার সাথে দুই পুলিশ কর্মকর্তার তর্ক হয়।
পরে আমি পটুয়াখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসির কাছে যাই।
থানার মধ্যে এসআই আমিনুল ও মোশাররফ আমার সাথে অমানবিক আচরণ করে।
এবং আমার ছেলেকে থানার মধ্যে ১২ ঘন্টা আটকে রাখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। অচেতন অবস্থায় ছেলে জাহিদুল কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
আমার ছেলের এমন অবস্থার জন্য ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা দায়ী।
আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে এস আই আমিনুলের মোবাইলে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি