ঢাকারবিবার , ৭ জুলাই ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আগামীকাল পহেলা মহররম, নতুন বছরের দোয়া ও আমল

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ৭, ২০২৪ ৩:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

ধর্ম ডেস্ক :: আগামীকাল পহেলা মহররম, নতুন বছরের দোয়া ও আমল

মানুষের জীবন সময়ের সমষ্টি। একটি মুহূর্ত চলে যাওয়া মানে হায়াতের সময় কমে যাওয়া। আর একটি বছর চলে যাওয়া তো অনেক বড় বিষয়। নতুন বছর আগমনে যেমন খুশি ও আনন্দ বিরাজ করে, তেমনি জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে বেদনাও মিশে থাকে।অতীতের ভুল থেকে যদি কেউ শিক্ষা না নেয়, তাহলে ব্যর্থতা থেকে মুক্তির কোনো পথ নেই। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বুদ্ধিমান ওই ব্যক্তি, যে নিজেকে পর্যালোচনা করে এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। আর নির্বোধ ও অক্ষম সেই ব্যক্তি, যে মনোবৃত্তির অনুসরণ করে এবং অলীক কল্পনায় ডুবে থাকে।’ (তিরমিজি: ২৪৫৯)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হিশাম বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিরা নতুন বছরের আগমনে কিংবা নতুন মাসের শুরুতে এ দোয়া পড়তে অভ্যস্ত ছিলেন। দোয়াটি হলো:
اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ، وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلَامَةِ، وَالْإِسْلَامِ، وَرِضْوَانٍ مِنَ الرَّحْمَنِ، وَجَوَار مِنَ الشَّيْطَانِ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আদখিলহু আলাইনা বিল-আমনি, ওয়াল ইমানি, ওয়াস সালামাতি, ওয়াল ইসলামি, ওয়া রিদওয়ানিম মিনার রাহমানি, ওয়া ঝাওয়ারিম মিনাশ শায়ত্বানি।) (আল-মুজাম আল-আওসাত, হাদিস ০৬/২২১)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের ঈমান ও ইসলামকে নিরাপদ করুন। আমাদের সুরক্ষা দিন। শয়তানের কুমন্ত্রণার মোকাবেলায় আমাদের সাহায্য করুন। দয়াময় রহমানের সন্তুষ্টি দান করুন।)

নতুন বছর আমাদের ভাবতে শেখায়। মহান রবের আনুগত্য আহ্বান করে। বছরের প্রথম দিনে পুরনো বছরের আত্মপর্যালোচনা করা হয়। নতুন বছরের কর্মপরিকল্পনা সাজায়। আর নবোদ্যমে কর্মতৎপর হয়ে ওঠে।নতুন বছরে তওবা করে নতুন করে মহান আল্লাহর গোলামির জীবন ধারণ করা। নববর্ষে হোক জীবনকে ঢেলে সাজানোর নতুন আত্মপ্রত্যয়। পিছনের সব গুনাহ ক্ষমা করিয়ে নিয়ে নতুন করে জীবনের পথ চলা সহজ হোক। দোয়া আমল ও ইবাদত বৃদ্ধি পাক।

মুসলমানের কাছে প্রতিটি দিন মূল্যবান। প্রত্যেকটি সকাল মানেই নতুন আরেকটি সুযোগ। সেই সুযোগটি হলো নিজের ঈমান ও আমলকে সমৃদ্ধ করার। ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.)-এর দাদা তার পিতা সাবিত (রহ.)-কে পারস্যের নওরোজের দিনে হজরত আলী (রা.)-এর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাকে কিছু হাদিয়া পেশ করেছিলেন। হাদিয়াটি ছিল নওরোজ উপলক্ষে। তখন হজরত আলী (রা.) বললেন, ‘নওরোজুনা কুল্লা ইয়াওম।’ অর্থাৎ মুমিনের নওরোজ প্রতিদিনই। মুমিন প্রতিদিনই তার আমলের হিসাব-নিকাশ করবে এবং নতুন উদ্যমে আখেরাতের পাথেয় সংগ্রহ করবে। (আখবারু আবি হানিফা রহ.)