আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ফিলিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া, অত্যাধুনিক অস্ত্র দেবেন কিম
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার তৈরি অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। ধারণা করা হচ্ছে স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে কিমে জং উনের দেশ। মূলত পশ্চিমা বিরোধী শক্তি হিসেবেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি এমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এবার এ দাবির স্বপক্ষে অবস্থান নিয়েছে পশ্চিমা মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াও।
কিমের প্রতিবেশী দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস যোদ্ধাদের সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন। স্থানীয় সময় বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক কিম কিউ-হিউন জানান, উত্তর কোরিয়া ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সমর্থন করার মাধ্যমে পশ্চিমা বিরোধী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমনকি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কাছে অস্ত্র বিক্রির চেষ্টা করছে বলে দাবি করে সিউল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কিম জং উন সরকারি কর্মকর্তাদের হামাসসহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে বিবেচনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, অতীতে হামাসের কাছে অ্যান্টি ট্যাংক রকেট লঞ্চার বিক্রি করেছে উত্তর কোরিয়া।দ্য কোরিয়া হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা হামাসের পোস্ট করা ছবি এবং ভিডিও পর্যালোচনা করেছে। এ সময় ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে অপারেশন আল আকসা স্টর্ম পরিচালনার সময় হামাসযোদ্ধারা উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র ব্যবহার করে থাকতে পারে বলেও দাবি করে তারা। অ্যাসোসিয়েট প্রেসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, হামাস সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার তৈরি এফ-৭ রকেটচালিত গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। এর আগে একটি ছবিতে হামাসযোদ্ধাদের সন্দেহভাজন উত্তর কোরিয়ার বুলসে-গাইডেড অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছিল।
তবে, হামাস কর্তৃক উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র ব্যবহারের পশ্চিমা দাবি নাকচ করে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। কিম প্রশাসন জানায়, এ ধরনের দাবি যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত একটি ভিত্তিহীন গুজব। এ সময় উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকার আল আহলি আল আরাবি হাসপাতালে বোমা হামলার জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় তেল আবিব যুদ্ধাপরাধ করছে।