নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টায় বরিশালের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভার সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিবুল হাসান ।
এ সময় তিনি সভায় বক্তব্যে বলেন, অপরাধমুক্ত সমাজ উপহার দেয়ার জন্য বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি কৌশুলীরা যদি একত্রে কাজ করে কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। অনেক সময় পুলিশ সাক্ষী হতে পারবে কী না দিধা দ্বন্দ্বে থাকে তবে পুলিশ এর উপরের অনেক সময় আস্তা রাখে না সাধারণ মানুষ সেই সেইক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট এর বিষয়টি লক্ষ্য রাখবে তবে পুলিশ যেকোনো বিষয়ে মামলার সাক্ষী হতে পারবে। এ সময় সভায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিল। এসময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া রিজভী মৌরী, মামলার আওতায় আসা বাদী ও বিবাদী দের উদ্দেশ্যে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ’আমার আদালত’ নামে অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে আসামী ও সাক্ষীদের হাজিরা তারিখ সহ সব বিষয়ে তথ্য দেয়া রয়েছে সকলে চাইলেই সেখানে ভিজিট করে সহজেই হাজিরা এবং তারিখ সহ সকল তথ্য দেখতে পারবেন। সভায় অন্যান্য কর্মকর্তারা বক্তব্যে বলেন, পুলিশসহ অংশীদারী সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটদের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স। অংশ নেওয়া সংশ্লিষ্ট সবাই পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা করলে। এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। বিচার বিভাগের সব অংশীদারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সহজ হবে। মামলার পেন্ডিং প্রসেস জারীর ক্ষেত্রে সমস্যা সমূহ চিহ্নিত ও দূরীকরণ, আদালতে সাক্ষী হাজির নিশ্চিতকরণ, সাক্ষীদের আদালতে আসা-যাওয়া কালীন নিরাপত্তা প্রদান, অনুসন্ধান এবং তদন্তের ক্ষেত্রে সমস্যা দূরীকরণ, কারাগার থেকে বিচারাধীন মামলার আসামীদের সময়মত আদালতে হাজিরকরণ, ক্রোকি পরোয়ানা তামিল নিশ্চিতকরণ, আদালত অঙ্গন, বিচারক ও আদালতের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, মালখানা থেকে সময়মত আলামত হাজিরকরণ, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গৃহীতব্য পদক্ষেপ সমূহ, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক যথাসময়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রেরণ সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনা দেয়া হয় কনফারেন্সে। এছাড়াও সভায় জেলার ১০ থানার ওসি এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সিজিএম কোর্ট এর নাজির মোঃ তরিকুল ইসলাম।