ঢাকাশুক্রবার , ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল বেলভিউতে ক্যাডার স্টাইলে দায়িত্ব পালন করছে  ডা. সজিব : অবহেলায় নয় মাসের শিশু রাইয়ান 

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪ ৭:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বেলভিউতে ক্যাডার স্টাইলে দায়িত্ব পালন করছে  ডা. সজিব : সেবা বঞ্চিত নয় মাসের শিশু রাইয়ান।

এখানে আমাদের ইচ্ছে মতই চিকিৎসা হবে- ভালো লাগলে থাকেন, নয়তো চলে যান। বরিশাল শের-ই বাংলা হাসপাতালে রেফার করার ব্যবস্থা করতেছি। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৯ মাসের চিকিৎসাধীন শিশু ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী সেবা না পাওয়ার প্রশ্ন তুললে রোগীর অভিভাবকদের সাথে কর্মরত ‘চিকিৎসক-নার্স’ ক্যাডার স্টাইলে এমন অসদাচরণ করার অভিযোগ উঠেছে।  বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বরিশাল বেলভিউ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৭ম তলার ৭০১ নং রুমে ডি বেডে চিকিৎসাধীন শিশু রোগীর স্বজনদের সাথে দায়িত্বরত ‘চিকিৎসক-নার্স’ এর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল ও মার্কেটিং ডিরেক্টর মোঃ লিয়াকত আলী জমাদ্দার ঘটনা শুনে বলেন, চিকিৎসা সেবায় রোগীর ত্রুটি হয়নি। তবে ম্যানেজমেন্টে একটু সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত পূর্বক খতিয়ে দেখা হবে। তাছাড়া এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রোগী ও তার স্বজনদের স্যার বলে সম্বোধন করতে বলা রয়েছে।

ডা. সজিব বলেন, আপনারা বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেন। আমি আপনাদের সাথে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাই না। রোগীর স্বজনরাও বহিরাগত লোকজন নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল।

সৈয়দ হৃদয় বলেন, তিনি নগরীর মহাবাজ এলাকার বাসিন্দা। গত ২২ সেপ্টেম্বর তার ৯ মাসের অসুস্থ শিশুকে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি করার পরই ‘ভ্যানমাইসিন’ এন্টিবায়োটিক দেয়ার পর শিশু ছটফট করে। ফুলে যায় মুখমন্ডল। চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে রোগীর ঔষধ দেয়ার নিয়ম উল্লেখ থাকলেও সে অনুযায়ী অর্থাৎ সময়মত কর্মরত ‘চিকিৎসক-নার্স’ আসে না। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার ১৫/২০ মিনিট পর তাদের গিয়ে খুঁজে খুঁজে আনতে হয়। তারমধ্যে সেবিকাদের ২ বার না এসে ২ বারের ঔষধ ১ বারে দেয়। আবার ভুল ইনজেকশন দিয়ে সেটি ফেলে দেয়। পরে বলেও এটা ভুলে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসে। কিন্তু কেউ কোন অপ্রতিকর ঘটনা বা অন্যায়মূলক কাজ করেনি। সকলেই ডাক্তারের কাছে সু-চিকিৎসার কামনা করেছেন।

তানজিলা আক্তার ঋতু বলেন, সন্তানের ভালো চিকিৎসার জন্য বেলভিউ নামক সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে আসা। সেখানে রোগীর ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ডাক্তার ও সেবিকার দৃষ্টি দিচ্ছে না। যে কারণে সময় মত রোগীর শরীরে ওষধ পুশ হচ্ছে না। পরে ২ ডোজ প্রায় এক সাথে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ঝালকাঠি বিনয়কাঠি গগন গ্রামের নবজাতক এক শিশুর মৃত্যু হয়। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সেই শিশুর জানাজা নামাজে অংশ নিয়েছিল বেলভিউ হাসপাতালের মার্কেটিং ডিরেক্টর মোঃ লিয়াকত আলী জমাদ্দার। তারা মৃত শিশুর পরিবারকে  আর্থিক সহযোগিতা দিতে চাইলেও নেয়নি ওই পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি নেয়নি কোন আইনি পদক্ষেপ এবং মিডিয়াকে দেয়নি কোন স্বাক্ষাৎকার। বেলভিউ কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তড়িঘড়ি করে তার লাশ নামিয়ে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেয়। পরে স্বজনরা  পৈতৃক বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে গিয়েছিল।