ঢাকাসোমবার , ৬ নভেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল নগরীর সাইলোতে সংরক্ষণ করা যাবে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
নভেম্বর ৬, ২০২৩ ১১:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর সাইলোতে সংরক্ষণ করা যাবে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল।

চাল সংরক্ষণে বরিশাল নগরীতে সাইলো নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হলেও, লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জটিলতায় এখনও বাকি ২০ ভাগ কাজ। ২১ বিঘা জমিতে এই নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হলে, সংরক্ষণ করা যাবে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল। দক্ষিণাঞ্চলে যে কোনো দুর্যোগে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় তা বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।

চাল সংরক্ষণের জন্য বরিশাল নগরীর ৩০ গোডাউন এলাকায় নির্মিত হচ্ছে সাইলো। ২০২২ সালের ২২ জুন শুরু হয় নির্মাণ কাজ। চলতি বছরের ২১ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, এলসি জটিলতায় আনুষঙ্গিত সরঞ্জাম আসতে দেরি হওয়ায়, মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আরও ছয় মাস ।

মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, এই সাইলো হবে বরিশালের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। পরবর্তীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখান থেকে সহজেই সংরক্ষিত খাদ্য দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা যাবে। প্রকল্পকাজ করতে প্রথমে জমি সংক্রান্ত জটিলতায় এবং পরে জেটি নির্মাণের সময় নদীর জোয়ার-ভাটার বিড়ম্বনায় কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে।

তাঁরা বলছেন, এখানে ৫০ কেজি থেকে শুরু করে দুই কেজি, এক কেজি চাল অটোমেটিক পদ্ধতিতে প্যাক করা যাবে।

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় ৯০ হাজার টন খাদ্য মজুতের ব্যবস্থা রয়েছে। এই সাইলোর অবশিষ্ট কাজ শেষ হলে খাদ্য মজুতের বড় সংরক্ষণাগার হবে এটি। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস-কিংবা খরাসহ যে কোনো দুর্যোগের পর ফসল ওঠা পর্যন্ত খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়ক হবে।

সাইলো প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী এ জেড এম ইফতেখার জানিয়েছেন, ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল সংরক্ষণ করা যাবে এই সাইলোতে। তিন বছর পর্যন্ত চালের গুণগত মান ঠিক রেখে সাইলোতে সম্পূর্ণ আটোমেটিক পদ্ধতিতে চাল সংরক্ষণ করা যাবে। বিশাল এ প্রকল্প পরিচালিত হবে সর্বোচ্চ ৫০ জন জনবল দিয়ে। এ কারণে এটি হবে ব্যয় সংকুচিত প্রকল্প। এর পরিচালনা ব্যয় হবে খুবই কম এবং খাদ্যমান নিশ্চিত হবে সম্পূর্ণটা।

প্রকল্প ম্যানেজার মো. আব্দুর রহিম বলেন, সম্পূর্ণ অত্যাধুনিকভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করে এখানে খাদ্যের সংরক্ষণ হবে। দুর্যোগকালে বরিশালের ছয় জেলায় দ্রুত তা সরবরাহ করা যাবে নৌ ও সড়কপথে। প্রায় দু লক্ষ শ্রমিক এই সাইলোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে পরিশ্রম করে চলেছেন।

সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে এই সাইলো তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। বর্ধিত সময় অনুযায়ী কাজ শেষ হবে আগামী এপ্রিলে।