নিজস্ব প্রতিবেদক :: বামনায় সাংবাদিক ওবায়দুল কবির দুলালের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলা।
বরগুনার বামনা উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক ও সমাজকর্মী ওবায়দুল কবির দুলাল এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় জড়িয়ে মিত্যা আসামী করা হয়েছে। পার্শ¦বর্তী পাথরঘাটা উপজেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় তাকে আসামী করা হয়। ভূক্তভোগি সাংবাদিক দুলাল বামনা উপজেলার দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ও বামনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং বামনা উপজেলা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর সভাপতি।
স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে প্রধান আসামি করে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার সাংবাদিক ও সমাজকর্মী ওবায়দুল কবির দুলালকে ওই মামলায় ৭৫ নম্বর আসামী করা হয়েছে।
ভূক্তভোগি সাংবাদিক ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলাল জানিয়েছেন, মামলার ঘটনাস্থল পাথরঘাটা উপজেলায়। ওই ১০ বছরের তিনি পাথরঘাটা উপজেলায় যাননি। অথচ মামলায় লেখা হয়েছে সে পাথরঘাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুমন শীলের নেতৃত্বে সাক্ষী ফোরকানের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পেট্রোল ঢেলে ও গান পাউডার দিয়ে অগ্নি সংযোগ করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা । সুমন শীল নামের কাউকে তিনি চেনেনও না।
ভূক্তভোগি সাংবাদিক দুলাল বলেন,মামলার সাক্ষীদের তালিকায় ফোরকান নামের কোন ব্যক্তির নাম নেই। মামলার বাদিকে আমি চিনি না, আর বাদিও আমাকে চিনেন না। আমাকে ব্যক্তি আক্রোশ থেকে কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামি করেছেন।
তিনি আরো বরেন, মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওই সময়ের সংসদ সদস্য হাচানুর রহমান রিমনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এবং সাবেক সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানার কন্যা ফারজানা সবুর রুমকির পরামর্শ, অর্থায়ন ও নির্দেশনায় এ হামলা চালানো হয়। এ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তার সাথে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই।
মামলা থেকে থেকে সাংবাদিক ওবায়দুল কবির দুলাল এর নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ৃবরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর হাওলাদার, বামনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাগরকুল পত্রিকার সম্পাদক মোঃ নেসার উদ্দিন. বামনা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, বামনা সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোতোষ চন্দ্র হাওলাদার।
উল্লেখ্য, বরগুনায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে প্রধান আসামি করে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পাথরঘাটার বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানার জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারজানা সবুর রুমকিকে দ্বিতীয় আসামি করে আরও তিনশ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
গত ৩ অক্টোবর বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মো. সোলায়মান বাদী হয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। তিনি বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম মনির বড় ভাইয়ের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক সভা ও সমাবেশ করার লক্ষ্যে ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বর্তমান বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি পাথরঘাটার উদ্দেশে রওনা হন। পরে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাথরঘাটার রায়হানপুর ইউনিয়নের সিএন্ডবি বাজার নামক এলাকায় গাড়ি নিয়ে পৌঁছালে তার ওপর ও সঙ্গে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান অভিযুক্তরা।
সাংবাদিক ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলালকে মামলায় আসামি করার বিষয় মামলার বাদী সোলায়মান বলেন,
(০১৭১১১১৭৮১০) আমাদের নেতারা মামলা সাজাইছে,ওবায়দুল কবির দুলালকে আমি চিনি না তারা হয়তো চিনে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ মুবিন জানান, ১০৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনশ জনকে আসামি করে মামলা এ দায়ের করা হয়েছে।