নিউজ ডেস্ক :: বরিশালে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশালে বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের সূচনা করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সকাল সোয়া ৭টা থেকে শহরের ৩০ গোডাউন এলাকা সংলগ্ন বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ত্রিশ গোডাউন এলাকায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহিদ এডিসি কাজী আজিজুল ইসলামের কবর জিয়ারত ও দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
সকাল ৯ টায় নগরীর ঐতিহাসিক বেলস্ পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার। এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ১০ টায় একই স্থানে চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্প পণ্য নিয়ে বিজয়মেলার উদ্বোধন করা হয়।
এছাড়াও দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও জেলা শিশু একাডেমিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সিনেমা হলে বিনা টিকিটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরবরাহকৃত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শিশুদের জন্য প্লানেট পার্ক ও দুর্গাসাগর দিঘী উন্মুক্ত রাখা এবং বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।
দুপুর ২ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিআইডবিøউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত ছিলো।
বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বেলা ১১ টায় জেলা পর্যায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এছাড়া শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য ও জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে সুবিধাজনক সময়ে স্থানীয় সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে কেয়ার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।
এরআগে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনগুলোতে আলোকসজ্জার মাধ্যমে আলোকিত করা হয়েছে। বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে তিন দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে।
দিনব্যাপী বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও দলিলপত্র প্রদর্শন করা হয়। বরিশাল প্রেসক্লাবে বেলা ১১ টায় আলোচনা সভা হয়েছে।