ঢাকাসোমবার , ২০ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আমরা মানুষের মৌলিক-সাংবি.ধানিক-মানবিক ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ল.ড়াই করে যাচ্ছি, আব্দুল আউয়াল মিন্টু

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জানুয়ারি ২০, ২০২৫ ১:০০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, আমাদের দলে একজনই নেতা তিনি হচ্ছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার পরবর্তীকালীন জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরীরা দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দলের সকলের ধারনা এক সরকার পালিয়ে গেছে, আমাদের রাজনৈতিক রাজপথ সহজ। কিন্তু আমার কাছে তা মনে হয় না। কারন রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনের দরকার নেই, গণতন্ত্রেরও দরকার নেই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য গত ১৮ বছর ধরে দলের নেতাকর্মীরা অত্যাচারিত-নির্যাতিত। আমরা মানুষের মৌলিক-সাংবিধানিক-মানবিক ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করে যাচ্ছি। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পদাক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহাবুবুল হক নান্নু, মহানগর বিএনপির ১নম্বর যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন, যুগ্ম আহবায়ক মো: জসিম উদ্দীন, আল আমিন, মাহফুজুর রহমান, আব্দুল হালিম মৃধা, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি কামরুল হাসান রতন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু, মহানগর শ্রমিকদলের আহবায়ক ফয়েজ আহমেদ খান, মহানগর মহিলাদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ফারহানা তিথি, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি প্রমুখ ।
?আলোচেনাসভা শেষে জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। একই সময় টাউনহলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন। প্রধান অতিথি ছিলেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নুসহ অন্যান্যরা। সভায় প্রধান অতিথি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান কোন গুণগান গেয়ে শেষ করা যাবে না। তার নাম যতবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে ততোই তার অনুগামী ও অনুসারীদের হৃদয়ের স্পৃহা আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা, দেশের মহান রাষ্ট্রনায়কের নাম কোন দিন মুছে ফেলতে আমরা দেব না। আর স্বাধীনতা ঘোষক কে? এই বিষয়টি নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি ভবিষ্যতে করার আর সুযোগও কেউ পাবে না। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। কিন্তু মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে মহান রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লিডারশীপের কারণেই তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আমরা শস্য ভান্ডারে পরিণত হয়ে বিদেশে চালও রপ্তানি করেছি। যে গণতন্ত্র আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তিনি সেই বহুদলীয় গণতন্ত্রকে আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছিল; আমাদের যতগুলো সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে গিয়েছিল, প্রত্যেকটি সাংবিধানিক অধিকার তিনি পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের ফেরত দিয়েছেন। তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের স্বীকৃতি কেউ দিবেনা, আমাদের স্বীকৃতি আমরাই প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো। ৬২ লক্ষ লোকের নামে মিথ্যা এবং প্রহসনমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেই মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। এগুলো ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। অতএব কেউ যদি মনে করে আমাদের ১৭ বছরের সংগ্রামের পরিবর্তে এক দেড়মাসের আন্দোলনে একটা সরকারকে ফেলে দিয়েছে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। স্বীকৃতি দিবে এদেশের জনগণ, আর সেটা আসবে ভোটের মাধ্যমে। তিনি বলেন, আমরা ১৮ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করছি বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংগ্রাম করতে করতে মৃত্যুর পথেই ছিলেন। শুধু গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। তিনি অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে লন্ডনে আছেন। তিনি যেন সুস্থ হয়ে দেশে আমাদের মাঝে আসতে পারেন সেজন্য সবাই দোয়া করবেন। তিনি বলেন, একজনে বলে বছরের শেষে ইলেকশন দিবে, আরেকজন বলে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পাওয়া গেলে কথাবার্তার পরে তারপরে একটা তারিখ দিবে, কিন্তু আমরা এত ধানাইফানাই শোনার জন্য এতদিন আন্দোলন সংগ্রাম করিনি। আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের লক্ষ্য উদ্দেশ্য একটাই ছিল দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি , এখনও সংগ্রামে আছি। আমাদের সংগ্রাম চলবে যতদিন পর্যন্ত এদেশের প্রতিটি মানুষের ভোটের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মৌলিক অধিকার অর্জিত না হয়। আর এগুলোর প্রারম্ভিক কাজ হলো নির্বাচন। নির্বাচন করতে হলে আগের সরকারকে বিতাড়িত করা জরুরি ছিল, আমাদের সংগ্রামের উদ্দেশ্যও তাই ছিল। সংগ্রামে প্রাথমিক বিজয় আমরা পেয়েছি কিন্তু আসল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য এখনও আমাদের সামনে।