নিজস্ব প্রতিবেদক :: দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে মাঘের শীতের দাপট অনুভূত না হলেও ডায়রিয়ার সাথে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। নভেম্বরের শুরু থেকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল সহ এ অঞ্চলের সব সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রোগীর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরেই বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৯ হাজার ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছিলো। এর বাইরে নিউমোনিয়া সহ নানা ধরনের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত আরো আড়াই হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে ভর্তি করতে হয়েছে। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
নতুন বছরের প্রথম ২২ দিনে আরো প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ডায়রিয়া রোগী এবং সহ¯্রাধিক নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত রোগী ভর্তি হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলোতে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল সহ একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, সরকারী হাসপাতালের অন্তত ১০গুন রোগী বিভিন্ন বেসরকারী ক্লিনিক সহ চিকিৎসকদের নিজস্ব চেম্বারে পরামর্শ গ্রহণ করে ঘরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে এসব রোগীদের কোন পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এবার বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে মাত্র দুদিন তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের নীচে নামে। বাস্তবে মৌসুমজুড়ে শীতের তীব্রতা কম থাকলেও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ অনেক বেশী। এর কারণ মধ্যে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত বেশী অনুভূত হওয়া, কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের ঠন্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের প্রবনতা বেশী লক্ষণীয়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী বিগত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮ হাজারেরও বেশী ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। আর চলতি বছরের প্রথম ২২ দিনেই সরকারি হাসপতালগুলোতে। গত প্রায় ৩ মাসে বরিশাল অঞ্চলে কোন ডায়রিয়া রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে দাবী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
তবে এসময়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত চিকিৎসাধীনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের ২২ দিনে ঠান্ডাজনিত রোগে ১জনের মৃত্যু হয়েছে।