নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে ৫ দিনের এক নবজাতককে সেতুর ওপর থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে হত্যার ঘটনায় মা ঐশী আক্তার (৩০) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নবজাতকের বাবা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার সোহেল আহমেদ সোমবার রাতে বাদি হয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঐশী আক্তার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার আমিরাবাদ এলাকার মো. মুনসুর হাওলাদারের মেয়ে এবং হয়বৎপুর তৌকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩ জুন বরিশাল নগরীর লুৎফুর রহমান সড়কের বাসিন্দা সোহেল আহমেদের সঙ্গে ঐশী আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর পরিবারের লোকজনের উসকানিতে ঐশী আক্তার স্বামীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও ঘর-সংসার করতে অনিহা প্রকাশ করে।
গত ১০ জানুয়ারি সকালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন ঐশি আক্তার। পরবর্তীতে ১২ জানুয়ারি দুপুরে স্বামীর অনুমতি ছাড়া দুপুরে ঐশী আক্তারের বোন কানিজ ফাতেমা বিথি নবজাতককে নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ঐশী আক্তার নবজাতক শিশুকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করে। ওইদিন সোহেল আহমেদ ও তার পরিবারের লোকজন কানিজ ফাতেমা বিথির বাসায় নবজাতক শিশুকে দেখতে গেলে ঐশীর পরিবারের লোকজন তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেয়।
এরপর নবজাতক সন্তানকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে ১৫ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যবর্তী যে কোন সময় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতুর উত্তর পার্শ্বের ঢাল থেকে নবজাতক ফাহমিদা আক্তার সাওদাকে (৫ দিন) কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ২০ জানুয়ারি নলছিটি থানা পুলিশ সুগন্ধা নদী থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আসামী ঐশী আক্তার অসুস্থ থাকায় পুলিশ হেফাজতে তার চিকিৎসা চলছে।