আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: লেবাননকে হুমকি ইসরায়েলের
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বিমান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এদিকে দেশটির জন্য মাথ্যব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সীমান্ত এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।
শনিবারও ইসরায়েলের তিনটি সামরিক চৌকিতে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি বাহিনীও পাল্টা বিমান চালিয়ে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি স্থাপনা ধ্বংস করার দাবি করেছে।
লেবানন যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে জানিয়ে এর জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত। শনিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি বলেন, ‘হিজবুল্লার কর্মকাণ্ডের জন্য মূল্য দিতে হবে লেবাননকে। গাজার মতো লেবাননে কি করতে হবে তা ভালো করেই জানে ইসরায়েল।’তিনি আরও বলেন, ‘হিজবুল্লাহর কর্মকাণ্ড একটি ভিন্ন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে; এগুলো আর শুধু উস্কানি নয় বরং এগুলো সম্পূর্ণ আগ্রাসনের কাজ। এর মূল্য শেষ পর্যন্ত লেবাননের জনগণইকেই দিতে হবে।’
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতে প্রবেশ করে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হিজবুল্লাহকে না করতে।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী তার ক্ষমতার মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করছে। বিমানবাহিনীর যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে উত্তর সীমান্ত ও লেবাননে লক্ষ্য বস্তুগুলোতে হামলা চালানোর। এতে লেবাননের পরিণিত গাজার মতো হতে পারে।’
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় হিজবুল্লাহ নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে বলে শনিবার এক ঘোষণায় জানিয়েছিলেন গোষ্ঠীটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। এছাড়া প্রথমবারের মতো সশস্ত্র ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। এরপরই মূলত ইসরায়েলি প্রতিমন্ত্রী হিজবুল্লাহকে পাল্টা এই হুঁশিয়ারি দিলেন।